নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন অধিকার আন্দোলনের ‘আইকন’ মার্টিন লুথার কিং এর অন্যতম সহযোগী জন লুইস ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ‘বৈধতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। খবর সূত্র: বিবিসির।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি নিউজ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেমোক্র্যাট নেতা জন লুইস বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত এই ব্যক্তিকে আমি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ প্রেসিডেন্ট বলে মনে করি না। রাশিয়ার সহযোগিতার কারণেই তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। আর যে কারণে হিলারির পরাজয় হয়েছে। ”
এ সময় জন লুইস ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকারও ঘোষণা দিয়ে বলেন, “যাকে ভুল বলে মনে করেন, এমন কারও সঙ্গে আপনি এক ঘরে থাকতে পারেন না। সেই সঙ্গে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে বলে আমি মনে করি। ”
লুইসের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কংগ্রেস সদস্য জন লুইসের উচিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অভিযোগ না করে তার নিজ নির্বাচনি এলাকার দিকে নজর দেওয়া। শুধু কথা, কথা, কথা! না কোনও পদক্ষেপ, না ফলাফল। দুঃখজনক!’
এই বিতর্কিত প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে ট্রাম্পকে। এই তালিকায় ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান নেতাও রয়েছেন।
সাবেক রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি চেয়ারম্যান মাইকেল স্টিলি বলেন, “প্রথমত, এমন টুইট করবেন না। দ্বিতীয়ত, সেখানে যাবেনও না। ”
নবনির্বাচিত সিনেটর কামালা হ্যারিস বলেন, “জন লুইস মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আইকন, যিনি ন্যায়বিচার ও সাম্যের পক্ষে নির্ভিক। তার সঙ্গে এমনটা হওয়া ঠিক হয়নি। ”
এদিকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরদিন সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচীর সবচেয়ে বড় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘উইম্যানস মার্চ’। ওই সমাবেশে প্রায় দুই লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।