Home Blog

পারিবারিক সঞ্চয়পত্র আর যৌথ নামে কেনা যাবে না

পরিবার সঞ্চয়পত্রের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। এখন থেকে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। যুগ্ম নামে এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না এবং কোনো প্রতিষ্ঠান এ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা ২০১২ সালের একটি প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের যোগ্যতা হলো ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের বাংলাদেশি নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ বা নারী), এবং ৬৫ বা তার বেশি বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি পুরুষ। নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।

আগে পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যেত। তবে একক নামে বিনিয়োগ সীমা ছিল ৪৫ লাখ টাকা। নতুন নীতিমালায় সর্বোচ্চ সীমা এখন শুধুমাত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা।

চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন স্কিমগুলোতে মুনাফার হার বেড়ে হয়েছে ১২.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।

সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.২৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের স্কিমে।

সবচেয়ে বেশি মুনাফা (১২.৫৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে।

বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের তিনটি ধাপ রয়েছে—১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা, এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি। নতুন নিয়মে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি ধাপ প্রস্তাব করা হয়েছে:

৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচে বিনিয়োগকারীরা।

৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপরের বিনিয়োগকারীরা।

সঞ্চয়পত্রের নীতিমালা ও মুনাফার হার পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগকারীদের নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

দালাল কাউসারের প্রতারণায় সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং মডেল লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের নান্নু উকিল বাড়ির কাউসার আলমের আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে বহু প্রবাসী যুবক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছুটিতে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না অনেকে। বাঙালি প্রবাসীদের সাথে তার আর্থিক প্রতারণা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সৌদি আরব থেকে একাধিক প্রবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছর ২২ মে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা, মুলপাড়া, মাছিমপুর তপদার বাড়ির মোঃ মুনছুর ও তাছলিমা বেগমের বড় ছেলে
মুছা তপদারকে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে নেন তার ভগ্নিপতি কাউসার আলম। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয় মুছা তপাদার।
ঘটনা জানতে চাইলে মুছা তপদারের মা তাছলিমা বেগম বলেন, মুছা পড়াশোনার পাশাপাশি চাঁদপুরে একটি স্থানীয় পত্রিকায় চাকরী ও একটি কম্পিউটারে দোকানে কাজ করতো। এতে সে নিজের খরচ নিজে বহন করা সহ মোটামুটি ভালোই চলছিল। হঠাৎ তার বড় বোনের জামাই কাউসার বিভিন্ন কথা বলে ৪ লক্ষ ২০ হাজান টাকায় সৌদি আরব নিয়ে ৩৮ হাজর টাকা বেতনে কম্পিউটারের ভালো কাজ ও ভিসা, আকামা এবং থাকা কোম্পানি বহন করবে বলে গত বছরে মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কাউসার মুছাকে  সৌদি আরব নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর কিছুদিন পর কাজের জন্য বললে কাউসার আরেক দালালের কাছে আমার ছেলেকে ভিন্ন একটি কাজের জন্য দিয়ে দেন। মুছার সাথে কোম্পানির ও কম্পিউটারের কাজের কথা বলে থাকলেও প্রথমে (মাজরাতে) কৃষি কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ দেয়া হয়। তারপরে একটা সুপার মার্কেটে কাজের ব্যবস্থা করে ভুক্তভোগী মুছার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন দালাল কাউসার।

কাউসার ও তার পরিবারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাউসার অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ অনেক অপমানজনক কথাবার্তা বলেন। সুপার মার্কেটে কাফেলা না করায় এবং দালালের সাথে যোগাযোগ করা ব্যর্থ হওয়ায়  আমার ছেলে সৌদি আরবে অবৈধ হিসেবে  হিসাবে অবস্থান করছেন। এতে করে আমার ছেলের সাথে কাউসার প্রতারণা করেছেন এবং বর্তমানে সে দেশে অবস্থান করে বিভিন্ন মানুষদের প্ররোচনা করে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলতেছেন।

এছাড়াও দালাল কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এই সকল প্রতারণার তথ্য ও প্রমাণ ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারগুলো প্রতিবেদককের কাছে জমা দিয়েছে।

কাউসার চাঁদপুর সদর উপজেলা লক্ষীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া, শ্রিরামপুর নান্নু উকিল বাড়ির বাদশা সেকান্তর হাওলাদার এর বড় ছেলে। পেশায় কাউসার আদম ব্যবসায়ী এবং দালাল। সে বর্তমানে চাঁদপুর শহরে চেয়্যারঘাট উত্তর জিটি রোডে  আখন্দ বাড়ি সংলগ্ন বসবাস করছেন।

কাউসার আলমের প্রতারণা থেকে বাঁচতে এবং সকলে পাওনা টাকা ফেরৎ পেতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা। তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাড়িতে থাকতেও মানুষের সাথে প্রতারণা করে বেড়াতো। প্রবাসে গিয়েও সে কাজ না করে প্রতারণা করে দিন পার করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া প্রবাসী যুবকরা।

কচুয়ায় কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া

চাঁদপুরের কচুয়ায় কিশোরীকে (১৩) অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতার মেহেদী হাসান উপজেলার করইশ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ভিকটিমের আত্মীয় সেলিনা বেগম বাদী হয়ে কচুয়ায় থানায় মামলা করেছেন,যার নং- ১৩, তারিখ: ২০.০১.২০২৫ খ্রি:।

বাদীর এজাহার  সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক দিন ধরে ভিকটিমকে উত্যাক্ত করে আসছিল যুবক মেহেদী হাসান। সোমবার বাদী সেলিনা বেগম তার আত্মীয়ের বাড়িতে ভিকটিমকে পাঠালে পূর্বে থেকে ওৎপেতে ছিল অভিযুক্ত যুবক মেহেদী হাসান। পরে ভিকটিম আইরিন সুলতানা ইভাকে জোরপূর্বক ভাবে অপহরণ করে ব্যাটারি অটোরিকশায় অপহরণ করে পাশ্ববর্তী শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তাকে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় সেলিনা বেগম কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, অপহরণ ও ধর্ষনের অভিযোগে মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত যুবক মেহেদী হাসানকে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

ছবি: কচুয়ায় অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যুবক।

চুয়াডাঙ্গা কাস্টমসের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

সাকিব আল হাসান:

চুয়াডাঙ্গা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট আর্থিক অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে আকস্মিকভাবে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানকার কর্মকর্তাদের জেরা করেন দুদক সদস্যরা। যাচাই করা হয় খাতাপত্রের লেনদেন। এরপর চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের আভিযানিক দল। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কী পরিমাণ ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কাস্টমস অফিস কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ করেছেন তারা।

দুদক ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন (সিংক), আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সেগুলো পর্যালোচনা ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা বঙ্গ পিভিসি পাইপ ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেলিম আহম্মেদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা।

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে

ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি দিয়েছি, চিঠির পর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণের চুক্তি সেটা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এরপর আমরা বিশ্বসমাজে কী পদক্ষেপ নেব, তা ঠিক করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইন উপদেষ্টা।

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে নির্বাচন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে বিচারের কোনো রকমের বিরোধ নাই, কোনো সম্পর্ক নাই। বিচার বিচারের গতিতে চলবে। নির্বাচনের গতি নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য।

তিনি আরও বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পূর্ণ গতিতে বিচার চলছে। বিচারের গতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমাদের এও পরিকল্পনা আছে, দরকার পড়লে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় শাখা গঠন করবো। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ হয়ে গেলে আমরা কাজটা করে ফেলবো।

না দেখে পণ্য কেনার বিধান

পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় তা উপস্থিত থাকাই উত্তম। তবে ইসলামী শরিয়তে পণ্য অনুপস্থিত রেখেও ক্রয় বিক্রয় করা যায়। পণ্য যদি অনুপস্থিত থাকে তখন সুস্পষ্টভাবে গুণ ও বৈশষ্ট্যি বর্ণনা করার দ্বারা কিনতে হয়। এটা বাইয়ে সালামের (অগ্রিম কেনা) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আবার গুণাগুণ বর্ণনা করা ছাড়াও কেনা যেতে পারে। তখন পণ্য যে স্থানে রাখা হয়েছে তার দিকে ইঙ্গিত করা হবে কিংবা এমন সম্পর্ক উল্লেখ করা হবে যার দ্বারা পণ্যটি অন্য বস্তু তেকে পৃথক হয়ে যাবে। তবে শাফেয়ি মাজহাব অনুসারে অনুপস্থিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়।

গুণ ও বৈশষ্ট্যি বর্ণনার মাধ্যমে যদি বিক্রি সম্পন্ন হয় এবং পণ্যটি দেখার পর বিবরণের সাথে তা মিলে যায় তবে ক্রয় করা আবশ্যক হবে। আর মিল পাওয়া না গেলে বেশির ভাগ ফকিহের মতে ক্রয়চুক্তি ভঙ্গ করার ইখতিয়ার থাকবে। যাকে ফিকহি পরিভাষায় খিয়ারুল খুলফ বলা হয়। হানাফি মাজহাব অনুসারে না দেখে কোনো পণ্য কিনলে ক্রেতা খিয়ারে রুয়াত বা দেখার ইচ্ছাধিকার (পণ্য দেখার পর প্রাপ্ত ইচ্ছাধিকার) লাভ করবে। অর্থাৎ ক্রেতা চুক্তি বহাল রাখা বা ভেঙ্গে ফেলার ইচ্ছাধিকার পাবে ব্যক্তি। যদি পণ্যের নমুনা বা মডেল দেখে তা ক্রয় করা হয় এবং পণ্যটির নমুনার বিপরীত না হয়, তবে ক্রেতা দেখার ইচ্ছাধিকার বা পাবে না। ক্যাটালগ ধরে বিক্রি করা অথবা নমুনা দেখিয়ে বিক্রি করা হলে এবং ক্যাটালগ ও নমুনার সঙ্গে তার মিল থাকলে বেচাকেনা বৈধ হবে। যেমন এক কেজি গম দেখিয়ে এক স্তুপ গম বিক্রি করা।

না দেখে পণ্য কেনার পর যদি তা ক্রেতা বা বিক্রেতার প্রত্যাশার চেয়ে পরিমাণে কম বা বেশি হয় এবং তা অনুমানের ওপর নির্ভর করে বিক্রি করা হয়, তবে বিক্রিতে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। আর যদি তা পরিমাপ করে বিক্রি করা হয়, তবে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম বা বেশি হলে তা বিক্রিতে প্রভাব ফেলবে। এ ক্ষেত্রে দেখতে হবে পণ্য বিভিন্ন অংশে ভাগ করলে তার কোনো ক্ষতি হয় কি না। পণ্যটি যদি এমন হয় যে তা বিভিন্ন অংশে ভাগ হলে ক্ষতি হবে না, তবে পণ্য বেশি হলে তা বিক্রেতা ফেরত পাবে এবং কম হলে পণ্য দ্বারা তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে অথবা মূল্য হ্রাস করা হবে। যেমন পাত্রে পরিমাপ করে গম বিক্রি করা। আর পণ্যটি যদি এমন হয় যে, তা বিভিন্ন অংশে ভাগ করলে পণ্যের ক্ষতি হয়। তবে পরিমাণ বেশি বা কম হলে বিক্রয় চুক্তি ভঙ্গ করার অধিকার থাকবে।

আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা অবলম্বনে

প্রথম মুসলিম নারী বাজার পরিদর্শক

শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন নারী মনীষা। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে একজন মুহাদ্দিস, শিক্ষক ও চিকিৎসক এবং ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী বাজার পরিদর্শক। তাঁকে প্রথম মুসলিম নারী শিক্ষকও বলা হয়। মহানবী (সা.) কখনো কখনো শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.)-এর বাড়িতে দিনের বেলা বিশ্রাম গ্রহণ করতেন। সেখানে তাঁর জন্য নির্ধারিত বিছানা ও পোশাক ছিল।

তাঁর পুরো নাম হলো শিফা বিনতে আবদুল্লাহ বিন আবদুশ শামস বিন আদি (রা.)। তাঁর প্রকৃত নাম লায়লা এবং উপনাম উম্মে সুলাইমান। শিফা তাঁর উপাধি। কিন্তু তিনি উপাধিতেই  প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তাঁর মা ফাতেমা বিনতে ওয়াহাব বিন আমর ও স্বামী মুহাম্মদ বিন সাআদ বিন মুনি হাশেমি। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। তারা হলেন সুলাইমান ও মাসরুক (রহ.)। তাদের মধ্যে সুলাইমান (রহ.) মুহাদ্দিস এবং মাসরুক (রহ.) প্রশাসক ছিলেন।

শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) হিজরতের আগেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথম দিকে হিজরতকারী নারীদের অন্যতম। তিনি মহানবী (সা.)-এর হাতে বাইআতও গ্রহণ করেন। শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) জাহেলি যুগেই পড়ালেখা শেখেন। তিনি সুন্দর হস্তলিপির অধিকারী ছিলেন। তাঁকে সমকালীন আরব নারীদের ভেতর অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব মনে করা হতো। তিনি মদিনার মুসলিম শিশু ও নারীদের লেখাপড়া শেখাতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্ত্রী হাফসা বিনতে ওমর (রা.) তাঁর কাছ থেকেই পড়া ও লেখা শেখেন।
মুসলিম হওয়ার আগে শিফা (রা.) ঝাড়-ফুঁক করতেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি বিষয়টি মহানবী (সা.)-এর কাছে পেশ করে তা ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি চান। নবীজি (সা.) তাঁকে অনুমতি দেন। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ মানুষকে রোগমুক্ত করতেন বলে বলেই হাফসা (রা.) তাঁর নাম দেন শিফা।

শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.)-এর বাড়ি ছিল মসজিদে নববী ও বাজারের মাঝে। বাজারে যাতায়াতের সময় নবীজি (সা.) তাঁর বাড়িতে বিশ্রাম করতেন। কোনো জীবনীকার দাবি করেছেন, নবীজি (সা.) বাজারের নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলতেন। তবে এর নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। শিফা (রা.) নিজে ব্যবসা না করলেও তাঁর পাণ্ডিত্য, পণ্য ও বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ও ব্যবসায়িক জ্ঞানের জন্য ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) তাঁকে হিসাবাহ তথা বাজার পরিদর্শক পদে নিযুক্ত করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম ইতিহাসের প্রথম নারী বাজার পরিদর্শক। তিনি সতর্ক দৃষ্টিতে বাজারের কার্যক্রম পরিদর্শন করতেন এবং কোনো অন্যায় হলে তা প্রতিহত করতেন। ইসলামী রাষ্ট্রে হিসাবাহ পদে নিযুক্তদের ব্যক্তির বিচারিক ক্ষমতা থাকে। যেমন আধুনিক যুগের ম্যাজিস্ট্রেটদের থাকে।

ইবনে বাদিস (রহ.) শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) সম্পর্কে লেখেন, ওমর (রা.) তাঁকে বিশেষ মূূল্যায়ন করতেন, সম্মান করতেন, বুদ্ধি-বিবেচনায় তাঁকে অগ্রগামী মনে করতেন। কেননা তিনি ইসলাম গ্রহণ, জ্ঞান-বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও মর্যাদায় অগ্রগামী ছিলেন। তিনি কখনো কখনো তাঁর বাজার বিষয়ক বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত করেন।

শিফা বিনতে আবদুল্লাহ (রা.) একজন দক্ষ চিকিৎসকও ছিলেন। চর্মরোগের চিকিৎসায় তাঁর বিশেষ দক্ষতা ছিল। তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধাহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নির্দেশ দেন তিনি যেন হাফসা (রা.)-কে চিকিৎসা বিদ্যা শেখান।

এই মহান নারী ওমর (রা.)-এর শাসনামলে ২০ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। মহান আল্লাহ জান্নাতে তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। আমিন।

সূত্র : আসারু ইবনু বাদিস : ৪/১২৩; আল-ইসাবা : ৮/১২১; লুমআতুত তানকিহ : ১০/১১৮

মেসির পেশাদারিত্ব ও শিক্ষার অভাব দেখছেন সাবেক মেক্সিকান ফুটবলার

মেসির শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মেক্সিকোর সাবেক ফুটবলার অ্যাডলফো বাতিস্তা। তিনি বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে আমি তোমার (মেসি) প্রশংসা করি। কিন্তু আমার দেশকে নিয়ে মজা করাটা তোমার পেশাদারি এবং শিক্ষার অভাবকে বোঝায়।

প্রাক-মৌসুমের ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব আমেরিকার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে মেসির ইন্টার মায়ামি। ওই ম্যাচে মেসিকে উদ্দেশ্য করে মেক্সিকান ক্লাবের সমর্থকরা দুয়ো দিতে থাকে, যা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি এই আর্জেন্টাইন তারকা।

প্রক্রিয়াও দেখান মেসি, হাতের তিন আঙুল উঁচিয়ে ধরেন তিনি। বোঝান তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যপারটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মেসির এই ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ।

এতে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি। তাদের দলে যোগ হয়েছেন মেক্সিকোর সাবেক ফুটবলার আদোলফো বাউতিস্তা। মেসির এই ইঙ্গিতের কড়া সমালোচনা করেন তিন।

বাউতিস্তা বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে আমি তোমার (মেসি) প্রশংসা করি। কিন্তু আমার দেশকে নিয়ে মজা করাটা তোমার পেশাদারি এবং শিক্ষার অভাবকে বোঝায়।

এর আগে, কাতার বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর দেশটির কোচ লুইস ফন গলকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন আর্জেন্টিাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। লম্বা সময় পর তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে আবারও।

ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন ঊর্বশী

কিছুদিন পরপরই সংবাদের শিরোনামে আসেন বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউটেলা। এরমধ্যে অধিকাংশ সময়ই নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে বিতর্ক। এদিকে, সম্প্রতি বাথরুম থেকে ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন এ অভিনেত্রী।

ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বাথরুমে প্রবেশ করছেন ঊর্বশী। এ সময় পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিওটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।

এ ব্যাপারে ঊর্বশী বলেন, নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, আমাদের সিনেমা নিয়ে কোনো ধরনের হাইপ নেই, আলোচনাও নেই। এ সিনেমার জন্য জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তারা এমনটাও বলেছিলেন, সিনেমাটি নিয়ে যদি কোনো শোরগোল তৈরি করা না যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের বিপরীতে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।

এ অভিনেত্রী বলেন, নির্মাতারা এসে আমার বিজনেস ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং অনুমতি নেন আমাদের। আর আমাদের সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আলাদা কিছু শুটিং করিনি। এ জন্য তিনি বলেছিলেন, এটি আমরা আরও আগে মুক্তি দিতে পারি কি না। আর প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রোমোশনের জন্য এমনটা করি। যা ছিল ‘ঘুষপেটিয়া’ সিনেমার দৃশ্যের।

বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতীয়দের সতর্কবার্তা মমতার

বিগত দিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে ঝামেলা হয়েছে একাধিক জায়গায়। বিএসএফ-কে কাজে বাধা দিতে দেখা গিয়েছে বিজিবিকে। এদিকে সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদেরও ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি।

এই আবহে মালদায় গিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিলেন, ‘বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিএসএফ-এর বচসা হলে তাতে আপনারা জড়াতে যাবেন না । খবর , হিন্দুস্তান টাইমস।

আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একদিন হয়ত আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, কোনও সমাজবিরোধী বা জঙ্গি যাতে কারও বাড়ি বা হোটেল ভাড়া নিয়ে বাসা না বাঁধতে পারে। কোনও সমাজবিরোধী যেন এখানে ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে। তাহলে তা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি। শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি মালদায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে দুদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।