এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ম্যাচে বাংলাদেশ–ভারতের মুখোমুখি লড়াইয়ে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম পরিণত হয় এক উৎসবমুখর ফুটবল ময়দানে। গ্যালারিগুলো ভরে যায় উচ্ছ্বাসে, আর স্টেডিয়ামে নয় শুধু দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় একসাথে শত শত ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপভোগ করেন ম্যাচটি।ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা চমকপ্রদ খেলার সাক্ষী হন। মাত্র ১১ মিনিটে বাঁ দিক থেকে রাকিবের নিখুঁত পাস ধরে শেখ মোরছালিন দুর্দান্ত গোল করেন, যা দেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে শুরু করে। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় বাংলাদেশ ১, ভারত ০।
ম্যাচের মাঝপথে কিছু উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত আসে। ৩৪ মিনিটে বাংলাদেশের তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের মধ্যে হালকা বিবাদ হয়, রেফারি দ্রুত পরিস্থিতি সামলান এবং দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান। পরে মিতুল মারমারের একটি ভুলকে হামজা চৌধুরী সতর্ক হেডে রোধ করেন, যা বাংলাদেশকে গোলের বিপদ থেকে বাঁচায়।
এর আগে ম্যাচের ২৭ মিনিটে চোট পাওয়ায় তারিক কাজী মাঠ ছাড়েন, তার স্থানে নামানো হয় শাকিল আহাদ তপুকে। তবে ভারতের জন্য বাংলাদেশের রক্ষণভাঙা সহজ হয়নি। প্রথমার্ধ শেষ হয় বাংলাদেশের এক গোলের লিড নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ কৌশল বদলান। মোরসালিন ও জায়ানকে তুলে আক্রমণে নামানো হয় শাহরিয়ান ইমন ও তাজ উদ্দিনকে। আক্রমণে গতি বাড়ে, আর ম্যাচে যোগ করা হয় ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময়। শেষ মুহূর্তেও ভারত গোল শোধের চেষ্টা চালায়, কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণদায়াল ছিলেন অটল। সময় শেষের বাঁশি বাজতেই স্টেডিয়াম উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ফলাফল: বাংলাদেশ ১–০ ভারত। এই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা, আর পুরো দেশ উদযাপনে ভরে যায়।



















































