মঙ্গলবার | ৪ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :

ইবি’র আয়েশা সিদ্দিকা হলে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে আল-কুরআনের কপি বিতরণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হলে আল-কুরআন শিক্ষা কোর্স সমাপনী ও তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে আল-কুরআনের কপি বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় হলের টিভি রুমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রাশেদুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি, আই.আই.ই.ই.আর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাহারা আক্তার সিথি।
অনুষ্ঠানে কুরআন শিক্ষা কোর্স সমাপ্তির পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও আল-কুরআনের কপি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পূর্ব নিবন্ধনের ভিত্তিতে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রীকে আল-কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “এই মহৎ ও যুগোপযোগী উদ্যোগের জন্য হল প্রভোস্ট স্যারকে ধন্যবাদ। হলের মধ্যেই সহিহ ভাবে কুরআন পাঠ শিখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চেষ্টা করবো সহিহ ভাবে কুরআন পড়ার এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার।”
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রাশেদুজ্জামান বলেন, “আমি আনন্দিত, আমি এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছি যেখানে উপাচার্য স্যার এসেছেন। আজকের যে অনুষ্ঠান তা স্বাভাবিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। মনে রাখবেন, কুরআন নিছক একটি বই নয়, আল্লাহ তায়ালা কুরআন তৈরি করেছেন আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশনা স্বরূপ। কুরআন শরীফ না বুঝে শুধু পাঠ করলে হবে না, তা পড়ে নিজের জীবনে ধারণ করতে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আপনারা কুরআন যতোটুকুই শিখেন সেই অনুযায়ী আমল করবেন। জীবন চলতে হলে কুরআন হাদিসের বাইরে যাওয়া যাবেনা। বৃদ্ধ বয়সে না এই বয়সেই কুরআন পড়ার এবং সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। সহিহ ভাবে কুরআন শরীফ শিখতে হবে। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনাদের উপরে ওঠা শুরু। একসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স, ম্যাথের পাশাপাশি আমি কুরআনও শিখেছি এটাও আপনারা বলতে পারবেন। যারা কুরআন শিখেন নাই, তারা শিখুন। প্রভোস্ট যে বিষয়টি চালু করেছে আপনারা যদি তা চালু রাখেন তাহলে অন্য হলগুলো আপনাদের অনুকরণ করবেন।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “কুরআনকে সম্মান তুমি অবশ্যই করবে কিন্তু কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে কিন্তু সারাবছর পড়লে না, এভাবে অস্পৃশ্য রাখার জন্য কুরআন নাজিল করা হয়নি। কুরআন এমন গ্রন্থ না যা অপঠিত থাকবে। তুমি প্রকৃতি থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করো, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যে গ্রন্থ নাজিল করেছে সেটি তোমাকে পড়তে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কুরআনে মুত্তাকিদের জন্য সকল ইনস্ট্রাকশন দেয়া আছে। কুরআন না পড়লে তা তোমরা জানতে পারবেনা। কুরআন কোনো নিছক গ্রন্থ নয়। কুরআন কে বলা হয় নূর। যতো শিখবে তোমার হৃদয় ততো আলোকিত হবে। কুরআন তোমার হৃদয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালায়। কুরআনের ভাষা এতো সহজ, প্রাঞ্জল তোমরা চাইলেই তা শিখতে পারবে। কুরআন যে জীবন্ত আদর্শ নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে এটি বুঝতে হলে এটি আমাদের পড়তে হবে।”
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে একতরফা ডিক্রি ও ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইবি’র আয়েশা সিদ্দিকা হলে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে আল-কুরআনের কপি বিতরণ

আপডেট সময় : ০৪:৫২:১৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হলে আল-কুরআন শিক্ষা কোর্স সমাপনী ও তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে আল-কুরআনের কপি বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় হলের টিভি রুমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রাশেদুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি, আই.আই.ই.ই.আর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাহারা আক্তার সিথি।
অনুষ্ঠানে কুরআন শিক্ষা কোর্স সমাপ্তির পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও আল-কুরআনের কপি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পূর্ব নিবন্ধনের ভিত্তিতে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রীকে আল-কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “এই মহৎ ও যুগোপযোগী উদ্যোগের জন্য হল প্রভোস্ট স্যারকে ধন্যবাদ। হলের মধ্যেই সহিহ ভাবে কুরআন পাঠ শিখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চেষ্টা করবো সহিহ ভাবে কুরআন পড়ার এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার।”
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.কে.এম রাশেদুজ্জামান বলেন, “আমি আনন্দিত, আমি এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছি যেখানে উপাচার্য স্যার এসেছেন। আজকের যে অনুষ্ঠান তা স্বাভাবিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। মনে রাখবেন, কুরআন নিছক একটি বই নয়, আল্লাহ তায়ালা কুরআন তৈরি করেছেন আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশনা স্বরূপ। কুরআন শরীফ না বুঝে শুধু পাঠ করলে হবে না, তা পড়ে নিজের জীবনে ধারণ করতে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আপনারা কুরআন যতোটুকুই শিখেন সেই অনুযায়ী আমল করবেন। জীবন চলতে হলে কুরআন হাদিসের বাইরে যাওয়া যাবেনা। বৃদ্ধ বয়সে না এই বয়সেই কুরআন পড়ার এবং সেই অনুযায়ী আমল করতে হবে। সহিহ ভাবে কুরআন শরীফ শিখতে হবে। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনাদের উপরে ওঠা শুরু। একসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স, ম্যাথের পাশাপাশি আমি কুরআনও শিখেছি এটাও আপনারা বলতে পারবেন। যারা কুরআন শিখেন নাই, তারা শিখুন। প্রভোস্ট যে বিষয়টি চালু করেছে আপনারা যদি তা চালু রাখেন তাহলে অন্য হলগুলো আপনাদের অনুকরণ করবেন।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “কুরআনকে সম্মান তুমি অবশ্যই করবে কিন্তু কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে কিন্তু সারাবছর পড়লে না, এভাবে অস্পৃশ্য রাখার জন্য কুরআন নাজিল করা হয়নি। কুরআন এমন গ্রন্থ না যা অপঠিত থাকবে। তুমি প্রকৃতি থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করো, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যে গ্রন্থ নাজিল করেছে সেটি তোমাকে পড়তে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কুরআনে মুত্তাকিদের জন্য সকল ইনস্ট্রাকশন দেয়া আছে। কুরআন না পড়লে তা তোমরা জানতে পারবেনা। কুরআন কোনো নিছক গ্রন্থ নয়। কুরআন কে বলা হয় নূর। যতো শিখবে তোমার হৃদয় ততো আলোকিত হবে। কুরআন তোমার হৃদয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালায়। কুরআনের ভাষা এতো সহজ, প্রাঞ্জল তোমরা চাইলেই তা শিখতে পারবে। কুরআন যে জীবন্ত আদর্শ নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে এটি বুঝতে হলে এটি আমাদের পড়তে হবে।”