বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত Logo মিথাইল ও বিষাক্ত স্পিরিট অপব্যবহার রোধে চাঁদপুরে সচেতনতামূলক সভা Logo সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo দেবহাটায় সাসের সমৃদ্ধি কর্মসূচির উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত Logo নানা আয়োজনে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র তুললেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন Logo দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করা বসতবাড়ি ভোগদখল জমিজমা নিমিষেই বেদখল Logo আন্তর্জাতিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ‘এডুরম’ উদ্বোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপির আনন্দ মিছিল Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা

oppo_0

যুবসমাজকে বইমুখী করতে ‘প্রাণের শক্তি বাড়ায় বই, বই পড়ে মানুষ হই’-স্লোগানে গত ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি সপ্তায় দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের আড্ডা আবর্তিত ছিলো নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শৃহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ চাঁদ টাওয়ারে অবস্থিত প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠাগারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা দিলীপ ঘোষ, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, বংশিবাদক বেলাল শেখ, খেলাফত মজলিশের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষালোর প্রতিষ্ঠাতা লিটন পাটওয়ারী, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন ও সাইফুল ইসলাম রাজিব।

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ শুধু কথাসাহিত্যিকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ গীতিকারও ছিলেন। ‘ও আমার উড়াল পংখী রে’, ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা’, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’ তাঁর লেখা এমন অসংখ্য গান কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছে। বাংলা নাটকের নতুন ধারা তৈরি করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশবরেণ্য অনেক শিল্পী ও অভিনেতা। হাস্যরসের ভেতর দিয়ে তিনি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। ব্যতিক্রম ধারার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলার ঘরে ঘরে তার গল্প-উপন্যাসের গ্রন্থ এমন ভাবে ঢুকে পড়েছে যে, আর কোনো সাহিত্যিকের বেলায় এমনটা চোখে পড়ে না।সভাপ্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ গল্প-উপন্যাস এবং নাটকে মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনধারা অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে তুলে ধরেছেন। রম্যরসিকতার মাধ্যমে মুখোশধারী সমাজের কুৎসিত চিত্র উন্মোচন করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা।

সব শেষে ফলচক্রের আয়োজন করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীবিকা উন্নয়নে কয়রায় প্রকল্প সভা অনুষ্ঠিত

নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে প্যাপিরাস পাঠাগারের সাহিত্য আড্ডা

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

যুবসমাজকে বইমুখী করতে ‘প্রাণের শক্তি বাড়ায় বই, বই পড়ে মানুষ হই’-স্লোগানে গত ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্যাপিরাস পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি সপ্তায় দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিকদের স্মরণে সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের আড্ডা আবর্তিত ছিলো নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর শৃহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ চাঁদ টাওয়ারে অবস্থিত প্যাপিরাস পাঠাগার কার্যালয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠাগারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও প্রধান পরিচালক মিজানুর রহমান স্বপনের সঞ্চালনায় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ‘জীবন ও সাহিত্য’ সম্পর্কে আলোচনা করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপদেষ্টা দিলীপ ঘোষ, নির্বাহী সদস্য নাজমুল ইসলাম, বংশিবাদক বেলাল শেখ, খেলাফত মজলিশের চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষালোর প্রতিষ্ঠাতা লিটন পাটওয়ারী, সাহিত্যানুরাগী আকবর হোসেন লিটন ও সাইফুল ইসলাম রাজিব।

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ শুধু কথাসাহিত্যিকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ গীতিকারও ছিলেন। ‘ও আমার উড়াল পংখী রে’, ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা’, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’ তাঁর লেখা এমন অসংখ্য গান কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছে। বাংলা নাটকের নতুন ধারা তৈরি করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশবরেণ্য অনেক শিল্পী ও অভিনেতা। হাস্যরসের ভেতর দিয়ে তিনি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। ব্যতিক্রম ধারার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলার ঘরে ঘরে তার গল্প-উপন্যাসের গ্রন্থ এমন ভাবে ঢুকে পড়েছে যে, আর কোনো সাহিত্যিকের বেলায় এমনটা চোখে পড়ে না।সভাপ্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, হুমায়ূন আহমেদ গল্প-উপন্যাস এবং নাটকে মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনধারা অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে তুলে ধরেছেন। রম্যরসিকতার মাধ্যমে মুখোশধারী সমাজের কুৎসিত চিত্র উন্মোচন করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা।

সব শেষে ফলচক্রের আয়োজন করা হয়।