‘আমি পূর্ববর্তী বহু মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করার পর মুসাকে দিয়েছিলাম কিতাব, মানবজাতির জন্য জ্ঞানবর্তিকা, পথনির্দেশ ও অনুগ্রহস্বরূপ, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।…মুসাকে যখন আমি আহবান করেছিলাম তখন তুমি তুর পর্বতপাশে উপস্থিত ছিলে না। বস্তুত এটা তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে দয়াস্বরূপ, যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারো, যাদের কাছে তোমার আগে কোনো সতর্ককারী আসেনি, যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
(সুরা : কাসাস, আয়াত : ৪৩-৪৬)আয়াতগুলোতে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. তাওরাত নাজিলের আগে আল্লাহ তাঁর নবীদের অস্বীকার করার প্রতিশোধ নিতেন এবং কঠোর শাস্তির মাধ্যমে ধ্বংস করে দিতেন।
২. দ্বিনের শত্রুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল মুসা (আ.)-এর যুগে এবং তাওরাতে প্রথম এই বিধান দেওয়া হয়।৩. মুসা (আ.)-এর আগমন বহু যুগ আগে হওয়ার পরও এবং তাঁর সম্পর্কে পূর্বধারণা না থাকার পরও মুসা (আ.) সম্পর্কে নির্ভুল বর্ণনা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মুজিজা বিশেষ।
৪. পূর্ববর্তী যুগে তখনই নবী-রাসুল পাঠানো হতো যখন মানুষ আসমানি হেদায়েত থেকে বিচ্যুত হতো এবং তা ভুলে যেত।
৫. আয়াত দ্বারা প্রমাণ হয় ঈমান ও ধর্মীয় জ্ঞান পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে স্মরণ রাখা আবশ্যক।
(আল কোরআন তাদাব্বুর ওয়া আমল : ২১/৯)