শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার Logo আবারও রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের Logo জাপানে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা, মারা যেতে পারে ৩ লাখ মানুষ Logo ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ট্রেন-বাস স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের চাপ Logo দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্ক সংকেত

মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোয় আমেরিকা !

  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এএ বইয়ের সবচেয়ে বড় গুণ ফ্ল্যাশব্যাক ও ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ডের আশ্রয়ে লেখক হায়দার আলী খান তাঁর বক্তব্য-সম্পৃক্ত ঘটনাবলিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। বলেছেনও তিনি তাঁর সে কথা বইয়ের ভূমিকায়, ‘আমার এ ক্ষুদ্র আখ্যান কোথাও সরলরৈখিকভাবে ইতিহাস-অনুসারী, আবার কোথাওবা বক্র। এই বক্রতায় ফ্ল্যাশব্যাক, ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ডসহ সময়ের বহুস্তরবিশিষ্টতাও রয়েছে। বহুস্তরবিশিষ্ট সময় নিয়ে এখন ঐতিহাসিকদের সর্বোচ্চ স্তরে বিশেষ বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। তার কিছুটা আভাসও পাঠকদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি পাণ্ডিত্যের মরুভূমির বালির কচকচানি যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে।’

এর পরপরই অত্যন্ত বিনীতভাবে, আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথা স্বীকার করে, আমাদের, পাঠকদের লেখক নিয়ে যাচ্ছেন এ বইয়ের ঘটনার পর্ব থেকে পর্বান্তরে।

আমরা বইয়ের শুরুতেই জানছি লেখক অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র। ওই বছরেরই জানুয়ারি মাসে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান তরুণদের এক সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য। তিন মাস মেয়াদি এই সফরের সময়ই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাঁর আর দেশে ফেরা হয় না। এই অবস্থায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই বাড়ির টেলিফোন মারফত খবর পাচ্ছেন ১৯৭১-এর ২৫ মার্চে ঢাকাসহ সারা দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্বিচারে বাঙালি হত্যাযজ্ঞের সংবাদ। লেখক তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলছেন, ‘মি. হাফম্যান…তো টেলিফোনে আমাকে জানিয়ে তাঁর কর্তব্য শেষ করলেন। কিন্তু তারপর আমার অবস্থাটা যা দাঁড়াল, তা এককথায় অবর্ণনীয়।’ এই প্রতিক্রিয়াই এ বই রচনার আদি ও অকৃত্রিম উৎস। এরপর খবর পাচ্ছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার একেবারে শুরুর দিনই নিউইয়র্কের পাকিস্তানি কনস্যুলেটের কয়েকজন বাঙালি কূটনীতিকের বাংলাদেশের পক্ষে তাঁদের সমর্থন ঘোষণা করার কথা।

.মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি: প্রবাসে আলোর গান
হায়দার আলী খান
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল l প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা l প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৬ ১২৮ পৃষ্ঠা l দাম: ২৫০ টাকা।

এই প্রথম বই, যাতে একজন রাজনীতি-সচেতন বাঙালি তরুণের বয়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুকূলে কিংবা তার প্রতিকূলে যা কিছু ঘটেছিল, তার প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে, একান্ত ঘরোয়াভঙ্গিতে। স্মৃতিকাতর লেখক হায়দার আলী খান অবশ্য যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরছেন, তেমনি থেকে থেকেই ফিরে যাচ্ছেন অনতি অতীতে। পা রাখছেন স্মৃতির ওপর ভর করে দেশের মাটিতে। জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ কামালের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের নিবিড়তার কথা, স্মরণ করছেন নিজের পরিবার ও পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা, তাঁর রাজনীতিমনস্ক ও সক্রিয়তাবাদী হওয়ার কথা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের বৃত্তান্ত প্রায় সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সেই দিনটির কথা, যেদিন শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। এসবই ফ্ল্যাশব্যাকের কথা—আমেরিকার মাটিতে বসে। কিন্তু এ বইয়ের মূল বিষয় উঠে এসেছে এখানে উদ্ধৃত এই কয়টি অধ্যায়ের মাধ্যমে। অধ্যায়গুলো হলো: ‘নিউইয়র্কের রাজপথে বাংলাদেশের মুখ’, ‘একবাল আহমদ ও আমাদের আন্দোলন’, ‘ইতিহাসের ভাঙাগড়ায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশের আন্দোলন: এক আমেরিকান কিশোরের প্রতিক্রিয়া’, ‘মার্চের নিউইয়র্ক ও আমাদের মুক্তিসংগ্রাম’, ‘মার্চের শেষ দিনটি’, ‘৩১ মার্চের একটি ছবি’, ‘মিসক্রিয়েট বনাম মুক্তিযোদ্ধা’, ‘বরফে পায়ের ছাপ: বাঙালি মধ্যবিত্তের স্বরূপ’, ‘রবার্ট হাফম্যান: আমেরিকা, পাকিস্তান ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’, ‘লেনারড বার্নস্টিন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’, ‘অ্যালেন গিনসবার্গের সঙ্গে কয়েকটি সন্ধ্যা’, ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে এক মার্কিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া’, ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১: রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন ও অন্যান্য শিল্পী’ এবং ‘পল রোবসন, পিট সিগার ও জোন বায়েজ’। উপরিউক্ত শিরোনামের অধ্যায়গুলো পড়লেই বোঝা যাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর বিরোধী হলেও দেশটির সমাজের নানাস্তরে চলেছে তার অনুকূলে নানা উদ্যোগ, আয়োজন ও সমর্থনের পালা। হায়দার আলী খানকে ধন্যবাদ এমন সব তথ্য এ বইয়ে তুলে ধরার জন্য, যা এত দিন আমাদের কাছে অজানা ছিল। এ বইয়ের বাড়তি পাওনা হলো মনজুরুল হকের দীর্ঘ সুলিখিত ভূমিকা। এটি বইয়ের পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বইটি মূলত স্মৃতিচারণামূলক, তবে তা ইতিহাসেরও অঙ্গীভূত অংশ হয়ে উঠেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা

মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোয় আমেরিকা !

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এএ বইয়ের সবচেয়ে বড় গুণ ফ্ল্যাশব্যাক ও ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ডের আশ্রয়ে লেখক হায়দার আলী খান তাঁর বক্তব্য-সম্পৃক্ত ঘটনাবলিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। বলেছেনও তিনি তাঁর সে কথা বইয়ের ভূমিকায়, ‘আমার এ ক্ষুদ্র আখ্যান কোথাও সরলরৈখিকভাবে ইতিহাস-অনুসারী, আবার কোথাওবা বক্র। এই বক্রতায় ফ্ল্যাশব্যাক, ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ডসহ সময়ের বহুস্তরবিশিষ্টতাও রয়েছে। বহুস্তরবিশিষ্ট সময় নিয়ে এখন ঐতিহাসিকদের সর্বোচ্চ স্তরে বিশেষ বিতর্ক ও আলোচনা চলছে। তার কিছুটা আভাসও পাঠকদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি পাণ্ডিত্যের মরুভূমির বালির কচকচানি যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে।’

এর পরপরই অত্যন্ত বিনীতভাবে, আনুষ্ঠানিকভাবে সে কথা স্বীকার করে, আমাদের, পাঠকদের লেখক নিয়ে যাচ্ছেন এ বইয়ের ঘটনার পর্ব থেকে পর্বান্তরে।

আমরা বইয়ের শুরুতেই জানছি লেখক অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র। ওই বছরেরই জানুয়ারি মাসে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান তরুণদের এক সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য। তিন মাস মেয়াদি এই সফরের সময়ই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাঁর আর দেশে ফেরা হয় না। এই অবস্থায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই বাড়ির টেলিফোন মারফত খবর পাচ্ছেন ১৯৭১-এর ২৫ মার্চে ঢাকাসহ সারা দেশে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্বিচারে বাঙালি হত্যাযজ্ঞের সংবাদ। লেখক তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলছেন, ‘মি. হাফম্যান…তো টেলিফোনে আমাকে জানিয়ে তাঁর কর্তব্য শেষ করলেন। কিন্তু তারপর আমার অবস্থাটা যা দাঁড়াল, তা এককথায় অবর্ণনীয়।’ এই প্রতিক্রিয়াই এ বই রচনার আদি ও অকৃত্রিম উৎস। এরপর খবর পাচ্ছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার একেবারে শুরুর দিনই নিউইয়র্কের পাকিস্তানি কনস্যুলেটের কয়েকজন বাঙালি কূটনীতিকের বাংলাদেশের পক্ষে তাঁদের সমর্থন ঘোষণা করার কথা।

.মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি: প্রবাসে আলোর গান
হায়দার আলী খান
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল l প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা l প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১৬ ১২৮ পৃষ্ঠা l দাম: ২৫০ টাকা।

এই প্রথম বই, যাতে একজন রাজনীতি-সচেতন বাঙালি তরুণের বয়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনুকূলে কিংবা তার প্রতিকূলে যা কিছু ঘটেছিল, তার প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে, একান্ত ঘরোয়াভঙ্গিতে। স্মৃতিকাতর লেখক হায়দার আলী খান অবশ্য যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরছেন, তেমনি থেকে থেকেই ফিরে যাচ্ছেন অনতি অতীতে। পা রাখছেন স্মৃতির ওপর ভর করে দেশের মাটিতে। জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ কামালের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের নিবিড়তার কথা, স্মরণ করছেন নিজের পরিবার ও পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা, তাঁর রাজনীতিমনস্ক ও সক্রিয়তাবাদী হওয়ার কথা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের বৃত্তান্ত প্রায় সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সেই দিনটির কথা, যেদিন শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। এসবই ফ্ল্যাশব্যাকের কথা—আমেরিকার মাটিতে বসে। কিন্তু এ বইয়ের মূল বিষয় উঠে এসেছে এখানে উদ্ধৃত এই কয়টি অধ্যায়ের মাধ্যমে। অধ্যায়গুলো হলো: ‘নিউইয়র্কের রাজপথে বাংলাদেশের মুখ’, ‘একবাল আহমদ ও আমাদের আন্দোলন’, ‘ইতিহাসের ভাঙাগড়ায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশের আন্দোলন: এক আমেরিকান কিশোরের প্রতিক্রিয়া’, ‘মার্চের নিউইয়র্ক ও আমাদের মুক্তিসংগ্রাম’, ‘মার্চের শেষ দিনটি’, ‘৩১ মার্চের একটি ছবি’, ‘মিসক্রিয়েট বনাম মুক্তিযোদ্ধা’, ‘বরফে পায়ের ছাপ: বাঙালি মধ্যবিত্তের স্বরূপ’, ‘রবার্ট হাফম্যান: আমেরিকা, পাকিস্তান ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’, ‘লেনারড বার্নস্টিন ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’, ‘অ্যালেন গিনসবার্গের সঙ্গে কয়েকটি সন্ধ্যা’, ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে এক মার্কিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া’, ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১: রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন ও অন্যান্য শিল্পী’ এবং ‘পল রোবসন, পিট সিগার ও জোন বায়েজ’। উপরিউক্ত শিরোনামের অধ্যায়গুলো পড়লেই বোঝা যাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর বিরোধী হলেও দেশটির সমাজের নানাস্তরে চলেছে তার অনুকূলে নানা উদ্যোগ, আয়োজন ও সমর্থনের পালা। হায়দার আলী খানকে ধন্যবাদ এমন সব তথ্য এ বইয়ে তুলে ধরার জন্য, যা এত দিন আমাদের কাছে অজানা ছিল। এ বইয়ের বাড়তি পাওনা হলো মনজুরুল হকের দীর্ঘ সুলিখিত ভূমিকা। এটি বইয়ের পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বইটি মূলত স্মৃতিচারণামূলক, তবে তা ইতিহাসেরও অঙ্গীভূত অংশ হয়ে উঠেছে।