মঙ্গলবার | ৪ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল

শেরপুরে একতরফা ডিক্রি ও ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শেরপুর জেলার পৌর শহরের বাগরাকসা মহল্লার কয়েকটি পরিবার আদালতের একতরফা ডিক্রি এবং ঘরবাড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৪২–এ সংরক্ষিত ন্যায়বিচার ও সম্পত্তি সংরক্ষণের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পরিবারগুলো জানান, বাদী পক্ষ আদালতে মিথ্যা তথ্য, মিথ্যা বিবাদী এবং মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে রায় গ্রহণ করিয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ও দলিল থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে।

পরিবারগুলো আরও বলেন, তারা প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই জমি ও বাড়িতে বসবাস করছে। মানববন্ধনের পরই স্থানীয় প্রশাসন হঠাৎ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। উচ্ছেদের সময় মহল্লা নারীর কান্না, পুরুষ ও শিশুর আহাজারিতে মুখর হয়ে ওঠে, এবং অনেক পরিবার ঘরের জিনিসপত্রও বের করতে পারেনি।

ভুক্তভোগীরা তাদের দাবিতে উল্লেখ করেছেন—

১. উচ্চ আদালতে পূর্ণ শুনানির সুযোগ প্রদান।

২. উচ্ছেদ কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত।

৩. একতরফা ডিক্রি বাতিল করে পুনর্বিচারের ব্যবস্থা।

৪. বসতভিটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ।

ভুক্তভোগীরা জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই, জোর করে ঘর ভাঙা নয়।”

ভুক্তভোগীরা হলেন বাগরাকসা মহল্লার শাহ আলম, আব্দুস সালাম, সুজন, কাজল, সিরাজ, শাহীন, শাহাবুদ্দিন, আব্দুল বারেকসহ আরও অনেকেই। ডিক্রিতে রায় প্রাপ্তরা হলেন পারুল বেগম, আছিয়া খাতুন, আসমা বেগমসহ আরও অনেক ওয়ারিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

শেরপুরে একতরফা ডিক্রি ও ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৭:৩১:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

শেরপুর জেলার পৌর শহরের বাগরাকসা মহল্লার কয়েকটি পরিবার আদালতের একতরফা ডিক্রি এবং ঘরবাড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৪২–এ সংরক্ষিত ন্যায়বিচার ও সম্পত্তি সংরক্ষণের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পরিবারগুলো জানান, বাদী পক্ষ আদালতে মিথ্যা তথ্য, মিথ্যা বিবাদী এবং মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে রায় গ্রহণ করিয়েছে। বৈধ কাগজপত্র ও দলিল থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে।

পরিবারগুলো আরও বলেন, তারা প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই জমি ও বাড়িতে বসবাস করছে। মানববন্ধনের পরই স্থানীয় প্রশাসন হঠাৎ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। উচ্ছেদের সময় মহল্লা নারীর কান্না, পুরুষ ও শিশুর আহাজারিতে মুখর হয়ে ওঠে, এবং অনেক পরিবার ঘরের জিনিসপত্রও বের করতে পারেনি।

ভুক্তভোগীরা তাদের দাবিতে উল্লেখ করেছেন—

১. উচ্চ আদালতে পূর্ণ শুনানির সুযোগ প্রদান।

২. উচ্ছেদ কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত।

৩. একতরফা ডিক্রি বাতিল করে পুনর্বিচারের ব্যবস্থা।

৪. বসতভিটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ।

ভুক্তভোগীরা জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই, জোর করে ঘর ভাঙা নয়।”

ভুক্তভোগীরা হলেন বাগরাকসা মহল্লার শাহ আলম, আব্দুস সালাম, সুজন, কাজল, সিরাজ, শাহীন, শাহাবুদ্দিন, আব্দুল বারেকসহ আরও অনেকেই। ডিক্রিতে রায় প্রাপ্তরা হলেন পারুল বেগম, আছিয়া খাতুন, আসমা বেগমসহ আরও অনেক ওয়ারিশ।