বুধবার | ৫ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত Logo চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক Logo বাংলাদেশ থেকে শুভারম্ভন হলো ‘ফোবানার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উৎসব আয়োজন Logo বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা! Logo শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী Logo ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত Logo ইবিতে সাংবাদিক মারধর—তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, নয়জনকে সতর্ক বার্তা Logo হাপানীয়া যুব সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ঝুড়ি বিতরণ Logo সিলেটে শ্রমিক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল

শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ-

ঘটনাটা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা গ্রামের। ঘটনার ভুক্তভোগী নারী কালা গ্রামের প্রবাসী আকবর আলীর স্ত্রী।

ঘটনার ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগে জানায় যে বিগত ৫ই জুলাই ২০২৫ তারিখের সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তার স্বামীর বড় ভাই সম্পর্কে ভাসুর মৃত্যু আবু তালেব মোল্লার ছেলে ইদ্রিস আলী (৫০) তার স্বামী না থাকার সুযোগে রান্নাঘরে রান্না করার সময় পিছন থেকে জোরপূর্বক মুখ জাপটে ধরে শোয়ার ঘরে নিয়ে যায় সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে তখন তার চিৎকার চেঁচামেচির শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে ইদ্রিস পালিয়ে যায়।

এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী নারী ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা করে। মামলা নাম্বার ১০১/ ২৫। এই মামলা করার কারণে ইদ্রিস মোল্লা আরো বেপরোয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবাসীর স্ত্রীর ভাসুর গত ৩০শে অক্টোবর ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি এস আই ইউসুফ আলী সাথে ভুক্তভোগী নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ¯’াপনের কারণে সিআইডি কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে এই মর্মে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীকে পুনরায় শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছেন বলে ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন ২০ বছর আগে আমি তখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তখন আমাকে ওই লম্পট ইদ্রিস আলী এক দফা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন সে এক সন্তানের বাবা। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে তার লালসা থেকে বাঁচতে তার ছোট ভাই আকবর আলীর সাথে আমার পিতা-মাতা বিবাহ দেয়।

কিš‘ পিতা মাতা বিবাহ দিলেও আমি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হলেও তার লোলোপ দৃষ্টি আমার দিক থেকে পড়েনি। সে অনেকবার আমাকে বিভিন্ন উপায়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে যাহা নিয়ে আমাদের পাড়ায় গ্রামে ইউনিয়নে অনেকবার সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। তার প্রধান উদ্দেশ্য আমি যাতে তার ছোট ভাইয়ের সাথে সংসার না করতে পারি।

আমার কারনে আমার ভাসুর আওয়ামী লীগ করার সুবাদে আমার আমার ভাইকে মারধর করে এবং আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে আদালত আমাদের বেকসুর খালাস দেয়। কিš‘ তার অপকৌশল থেমে থাকে নি।

তারপরে ২০২২ সালের দিকে আমার ভাসুর নানান কলাকৌশলের মাঝ দিয়ে আমার স্বামীকে বোঝাতে সমাপ্ত হয় যে তার সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্ক আছে। তখন আমি আমার স্বামীর প্রতি অভিমান করে চট্টগ্রামে আমার বোনের কাছে চলে যাই। তখন আমার স্বামীর সহযোগিতায় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে আমার নামে দৈনিক যশোর দৈনিক যশোর বার্তায় ” পরকীয়ার টানে ঘর ছেড়েছে তিন সন্তানের জননী !

প্রবাসীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিš‘ আমি বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে আমার ভাসুর জানতো না যার কারণে তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় যে আমি আমার ভাসুরের সাথে চলে গেছি। এই ঘটনা নিয়ে এক পর্যায়ে আমার স্বামীর সাথে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তালাক দেয়ার ঘটনা ঘটে।

সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমার স্বামী ভুল বুঝতে পেরে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়ে যায়।
এই ঘটনা নিয়ে প্রবাসী আকবর আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলে যে আমার ভাই অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইদ্রিস আলী অত্যন্ত অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী একজন ব্যক্তি যে আমার স্ত্রীকে আমার বিবাহের আগে থেকেই বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত করে আসছে কিš‘ সে আমার বড় ভাই বলে আমি তার প্রতি কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আমি এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে ভুল বুঝেছিলাম কিš‘ পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমি সে ভুল শুধরে নেই।

কিš‘ আমার ভাই আজও আমার স্ত্রীর পিছনে লেগে আছে। আমার স্ত্রীর সাথে যখন যে ঘটনায় ঘটুক না কেন সমস্ত ঘটনা আমার স্ত্রী আমাকে জানায়। সে আবার সর্বশেষ ৫/৭/২০২৫ তারিখে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। যে বিষয়ে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে আমার সম্মতিতেই আমার স্ত্রী আদালতে মামলা করেছে। তাছাড়া সে আমার নামে এর আগেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এই সমস্তগুলো কাজগুলো করছে যাতে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সংসার না করি। আমি আমার এই লম্পট বড় ভাইয়ের যথ উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করছি।

প্রবাসীর স্ত্রী আরো বলেন সম্পর্কে আমার ভাসুর সে আমার বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আমার নৈতিক চরিত্র নিয়ে যেভাবে অপকর্মে মেতে উঠেছে আমার সমাজে মুখ দেখানোর মতো অব¯’া নেই। ইতিমধ্যে সে তার চাচাতো ভাইয়ের আত্মীয় দিয়ে সাপখোলা গ্রাম থেকে রওশন আলী নামে একজনকে দিয়ে আমার ও আমার ভাই আজিমের নামে মিথ্যা প্রতারণার মামলা করেছে।

এর আগে সে ইদ্রিস আলী আমাকে ভিটেবাড়ি ছাড়া করার জন্য কৌশলে বাড়ির জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এত কিছু করার পরেও সে পুনরায় সাংবাদিক এবং মিডিয়ার মাধ্যম দিয়ে আমাকে আবার জন সম্মুখে শ্লীলতাহানি করল। তার এই সমস্ত অপকর্মের কি কোন শাস্তি হবে না ? আমি কি রাষ্ট্রের কাছে কোন বিচার পাব না। আমি মামলা করেছি তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করার স্বার্থে আমার বাড়িতে তো আসবেই সে ক্ষেত্রে তাকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে আবার মিথ্যা প্রচার শুরু করবে এই ইদ্রিস।

আমি কি আমার মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না? সর্বশেষ কি ইদ্রিসের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমার আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে?
প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই আজিম বলেন যে আমার বোনকে নিয়ে অনেক বছর ধরে ইদ্রিস বিভিন্ন প্রকার ভাবে উত্তপ্ত করে আসছে। আমাদেরকে সে একবার মারধর পর্যন্ত করেছে এখন বলছে যে আমার দুইটা বা”চা আছে । তাদের কেউ সে মেরে ফেলবে ।

আমরা গরিব মানুষ অসহায় দিন যাপন করছি এবং জানিনা কবে কাকে সে হত্যা করে? সে আগে আওয়ামী লীগ করতো সেই দাপটে সে অনেক কিছু করত এখন আবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছে।
গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানায় যে ইদ্রিস প্রবাসীর স্ত্রী কে অনেকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে যা গ্রামবাসী মীমাংসা করেছে যার কারণে প্রবাসীর স্ত্রী আদালতে মামলা করেনি।

এখন এলাকাবাসী ইদ্রিসের মত লম্পট এর শাস্তি চাই। তার ছোট ভাইয়ের বউয়ের প্রতি এই আচরণ আর মেনে নেয়া যা”েছ না।
এই প্রসঙ্গে সিআইডি এসআই ইউনুফ আলীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে সে বলে যে ইদ্রিস আলী তাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিল সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে চার্জশিট দেয়ার পর ক্ষুদ্ধ হয়ে সে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

বিগত ২২ বছর ধরে ওই মেয়েটাকে সে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে আসছে। যদি তার অভিযোগ থাকতো তাহলে যখন আমি তদন্ত করছি তখন সে আমার বিরুদ্ধে আবেদন জমা করতে পারত যে আমার দিয়ে সঠিক তদন্ত সম্ভব নয় কিš‘ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দুই মাস পর সে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ওই নারীর মান-সম্মান পুনরায় ক্ষুন্ন হয়েছে সে ক্ষেত্রে ওই নারী তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারে।
ঘটনা প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইদ্রিস আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলে যে আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

যে অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করা হ”েছ ওই দিন আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমার ভাইয়ের স্ত্রী আমার বিরোধীদলের লোকের সাথে মিলেমিশে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেছে। তার প্রধান কারণ হ”েছ আমার ভাইয়ের মেয়ের একটি পর্নোগ্রাফি মামলা আছে যে মামলার কারণে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

অতীতে আমার বিরুদ্ধে কোন সালিশ বিচার বসিনি যেটা মিথ্যা কথা। আমার ভাইয়ের বিদেশে যাওয়ার সময় সে জমি দিয়েছিল আমরা সেই জমি ফেরত দিয়েছি। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে আমার পরিবারের সবাই আমার সাথে থাকতো না। আমি সিআইডি অফিসার কে কোন অর্থ দেয়ার কথা বলে ম্যানেজ করতে যাইনি। তিনি মামলা তদন্তের কথা বলে ওনার বাড়িতে কেউ থাকেনা সে ঘরের ভিতরে বসে খাওয়া দাওয়া করছিল। আমার মা দেখে আমাদেরকে জানায়।

সিআইডি অফিসার ইউসুফ আলী উনি অনেকের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি প্রেসক্লাবে আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন হবে উনার বিরুদ্ধে। আমি সামাজিক বিরোধের শিকার। আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে তালাক দেয়া হয়েছিল তারপরেও সে আমাদের জায়গায় আছে।

ওই মেয়েটার বাড়ি আমাদের গ্রামে তারা কতটা শক্তিশালী না হলে এটা হতে পারে একবার ভেবে দেখেছেন কি? আমি তার ভাইয়ের সন্তানকে কোন হত্যার হুমকি দেই নি এটাও একটি মিথ্যা কথা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত

শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৪৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ-

ঘটনাটা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের কালা গ্রামের। ঘটনার ভুক্তভোগী নারী কালা গ্রামের প্রবাসী আকবর আলীর স্ত্রী।

ঘটনার ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগে জানায় যে বিগত ৫ই জুলাই ২০২৫ তারিখের সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তার স্বামীর বড় ভাই সম্পর্কে ভাসুর মৃত্যু আবু তালেব মোল্লার ছেলে ইদ্রিস আলী (৫০) তার স্বামী না থাকার সুযোগে রান্নাঘরে রান্না করার সময় পিছন থেকে জোরপূর্বক মুখ জাপটে ধরে শোয়ার ঘরে নিয়ে যায় সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে তখন তার চিৎকার চেঁচামেচির শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে ইদ্রিস পালিয়ে যায়।

এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী নারী ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে মামলা করে। মামলা নাম্বার ১০১/ ২৫। এই মামলা করার কারণে ইদ্রিস মোল্লা আরো বেপরোয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবাসীর স্ত্রীর ভাসুর গত ৩০শে অক্টোবর ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি এস আই ইউসুফ আলী সাথে ভুক্তভোগী নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ¯’াপনের কারণে সিআইডি কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে এই মর্মে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীকে পুনরায় শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছেন বলে ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন ২০ বছর আগে আমি তখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তখন আমাকে ওই লম্পট ইদ্রিস আলী এক দফা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন সে এক সন্তানের বাবা। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে তার লালসা থেকে বাঁচতে তার ছোট ভাই আকবর আলীর সাথে আমার পিতা-মাতা বিবাহ দেয়।

কিš‘ পিতা মাতা বিবাহ দিলেও আমি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হলেও তার লোলোপ দৃষ্টি আমার দিক থেকে পড়েনি। সে অনেকবার আমাকে বিভিন্ন উপায়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে যাহা নিয়ে আমাদের পাড়ায় গ্রামে ইউনিয়নে অনেকবার সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। তার প্রধান উদ্দেশ্য আমি যাতে তার ছোট ভাইয়ের সাথে সংসার না করতে পারি।

আমার কারনে আমার ভাসুর আওয়ামী লীগ করার সুবাদে আমার আমার ভাইকে মারধর করে এবং আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে আদালত আমাদের বেকসুর খালাস দেয়। কিš‘ তার অপকৌশল থেমে থাকে নি।

তারপরে ২০২২ সালের দিকে আমার ভাসুর নানান কলাকৌশলের মাঝ দিয়ে আমার স্বামীকে বোঝাতে সমাপ্ত হয় যে তার সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্ক আছে। তখন আমি আমার স্বামীর প্রতি অভিমান করে চট্টগ্রামে আমার বোনের কাছে চলে যাই। তখন আমার স্বামীর সহযোগিতায় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে আমার নামে দৈনিক যশোর দৈনিক যশোর বার্তায় ” পরকীয়ার টানে ঘর ছেড়েছে তিন সন্তানের জননী !

প্রবাসীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিš‘ আমি বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে আমার ভাসুর জানতো না যার কারণে তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় যে আমি আমার ভাসুরের সাথে চলে গেছি। এই ঘটনা নিয়ে এক পর্যায়ে আমার স্বামীর সাথে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তালাক দেয়ার ঘটনা ঘটে।

সাত মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমার স্বামী ভুল বুঝতে পেরে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়ে যায়।
এই ঘটনা নিয়ে প্রবাসী আকবর আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলে যে আমার ভাই অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইদ্রিস আলী অত্যন্ত অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী একজন ব্যক্তি যে আমার স্ত্রীকে আমার বিবাহের আগে থেকেই বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত করে আসছে কিš‘ সে আমার বড় ভাই বলে আমি তার প্রতি কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। আমি এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে ভুল বুঝেছিলাম কিš‘ পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমি সে ভুল শুধরে নেই।

কিš‘ আমার ভাই আজও আমার স্ত্রীর পিছনে লেগে আছে। আমার স্ত্রীর সাথে যখন যে ঘটনায় ঘটুক না কেন সমস্ত ঘটনা আমার স্ত্রী আমাকে জানায়। সে আবার সর্বশেষ ৫/৭/২০২৫ তারিখে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। যে বিষয়ে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে আমার সম্মতিতেই আমার স্ত্রী আদালতে মামলা করেছে। তাছাড়া সে আমার নামে এর আগেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এই সমস্তগুলো কাজগুলো করছে যাতে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সংসার না করি। আমি আমার এই লম্পট বড় ভাইয়ের যথ উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করছি।

প্রবাসীর স্ত্রী আরো বলেন সম্পর্কে আমার ভাসুর সে আমার বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আমার নৈতিক চরিত্র নিয়ে যেভাবে অপকর্মে মেতে উঠেছে আমার সমাজে মুখ দেখানোর মতো অব¯’া নেই। ইতিমধ্যে সে তার চাচাতো ভাইয়ের আত্মীয় দিয়ে সাপখোলা গ্রাম থেকে রওশন আলী নামে একজনকে দিয়ে আমার ও আমার ভাই আজিমের নামে মিথ্যা প্রতারণার মামলা করেছে।

এর আগে সে ইদ্রিস আলী আমাকে ভিটেবাড়ি ছাড়া করার জন্য কৌশলে বাড়ির জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এত কিছু করার পরেও সে পুনরায় সাংবাদিক এবং মিডিয়ার মাধ্যম দিয়ে আমাকে আবার জন সম্মুখে শ্লীলতাহানি করল। তার এই সমস্ত অপকর্মের কি কোন শাস্তি হবে না ? আমি কি রাষ্ট্রের কাছে কোন বিচার পাব না। আমি মামলা করেছি তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করার স্বার্থে আমার বাড়িতে তো আসবেই সে ক্ষেত্রে তাকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে আবার মিথ্যা প্রচার শুরু করবে এই ইদ্রিস।

আমি কি আমার মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না? সর্বশেষ কি ইদ্রিসের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমার আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে?
প্রবাসীর স্ত্রীর ভাই আজিম বলেন যে আমার বোনকে নিয়ে অনেক বছর ধরে ইদ্রিস বিভিন্ন প্রকার ভাবে উত্তপ্ত করে আসছে। আমাদেরকে সে একবার মারধর পর্যন্ত করেছে এখন বলছে যে আমার দুইটা বা”চা আছে । তাদের কেউ সে মেরে ফেলবে ।

আমরা গরিব মানুষ অসহায় দিন যাপন করছি এবং জানিনা কবে কাকে সে হত্যা করে? সে আগে আওয়ামী লীগ করতো সেই দাপটে সে অনেক কিছু করত এখন আবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছে।
গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানায় যে ইদ্রিস প্রবাসীর স্ত্রী কে অনেকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে যা গ্রামবাসী মীমাংসা করেছে যার কারণে প্রবাসীর স্ত্রী আদালতে মামলা করেনি।

এখন এলাকাবাসী ইদ্রিসের মত লম্পট এর শাস্তি চাই। তার ছোট ভাইয়ের বউয়ের প্রতি এই আচরণ আর মেনে নেয়া যা”েছ না।
এই প্রসঙ্গে সিআইডি এসআই ইউনুফ আলীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে সে বলে যে ইদ্রিস আলী তাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিল সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে চার্জশিট দেয়ার পর ক্ষুদ্ধ হয়ে সে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

বিগত ২২ বছর ধরে ওই মেয়েটাকে সে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে আসছে। যদি তার অভিযোগ থাকতো তাহলে যখন আমি তদন্ত করছি তখন সে আমার বিরুদ্ধে আবেদন জমা করতে পারত যে আমার দিয়ে সঠিক তদন্ত সম্ভব নয় কিš‘ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দুই মাস পর সে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ওই নারীর মান-সম্মান পুনরায় ক্ষুন্ন হয়েছে সে ক্ষেত্রে ওই নারী তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারে।
ঘটনা প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইদ্রিস আলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে বলে যে আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

যে অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করা হ”েছ ওই দিন আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমার ভাইয়ের স্ত্রী আমার বিরোধীদলের লোকের সাথে মিলেমিশে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেছে। তার প্রধান কারণ হ”েছ আমার ভাইয়ের মেয়ের একটি পর্নোগ্রাফি মামলা আছে যে মামলার কারণে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

অতীতে আমার বিরুদ্ধে কোন সালিশ বিচার বসিনি যেটা মিথ্যা কথা। আমার ভাইয়ের বিদেশে যাওয়ার সময় সে জমি দিয়েছিল আমরা সেই জমি ফেরত দিয়েছি। আমি যদি খারাপ হতাম তাহলে আমার পরিবারের সবাই আমার সাথে থাকতো না। আমি সিআইডি অফিসার কে কোন অর্থ দেয়ার কথা বলে ম্যানেজ করতে যাইনি। তিনি মামলা তদন্তের কথা বলে ওনার বাড়িতে কেউ থাকেনা সে ঘরের ভিতরে বসে খাওয়া দাওয়া করছিল। আমার মা দেখে আমাদেরকে জানায়।

সিআইডি অফিসার ইউসুফ আলী উনি অনেকের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি প্রেসক্লাবে আরও একটি সাংবাদিক সম্মেলন হবে উনার বিরুদ্ধে। আমি সামাজিক বিরোধের শিকার। আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে তালাক দেয়া হয়েছিল তারপরেও সে আমাদের জায়গায় আছে।

ওই মেয়েটার বাড়ি আমাদের গ্রামে তারা কতটা শক্তিশালী না হলে এটা হতে পারে একবার ভেবে দেখেছেন কি? আমি তার ভাইয়ের সন্তানকে কোন হত্যার হুমকি দেই নি এটাও একটি মিথ্যা কথা।