শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

কলেজ হোস্টেল থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী শহরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মহিলা হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম নাজমা খাতুন। তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুরের পালিবাজার এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে। ওই কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে  সম্প্রতি অনার্স পাশ করেন তিনি। সেই হিসেবে ভূগোল বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তিচ্ছু ছিলেন নাজমা।

শুক্রবার দুপুরে হলের তার নিজ কক্ষের জানালার রডের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় তার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে তিনি নিজের ওপর অভিমান করে এ পথে পা বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

হোস্টেলের অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, নাজমা খাতুন থাকতেন রাজশাহী কলেজ মহিলা হোস্টেলের প্রধান ব্লকের ১০১ নম্বর কক্ষে। তার সঙ্গে আরো এক শিক্ষার্থী থাকতেন। তবে তিনি শীতের ছুটিতে বাড়ি গেছেন। ফলে ওই কক্ষটিতে গত কয়েকদিন ধরে একাই থাকতেন নাজমা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে তার কোনো সাড়া-শব্দ পাচ্ছিলেন হোস্টেলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত অন্য ছাত্রীরা হোস্টেল সুপারকে ডেকে আনেন। হোস্টেল সুপার জান্নাত আরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

সূত্র জানায়, নাজমা খাতুন রাজশাহী কলেজের স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনটিতেও ঠিকমতো সময় দিতে পারতেন না। এর মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান জানান, মেয়েটির কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে সে লিখেছে ‘দাদি তোমার কথা রাখতে পারলাম না। তোমার কথা রাখবে আমার ছোট বোন। আমি চলে গেলাম।’

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি প্রায়ই অসুস্থ থাকতো। এসব কারণেই সে নিজের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুইসাইড নোটেও সে কাউকে দায়ী করে যায়নি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

কলেজ হোস্টেল থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার!

আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

রাজশাহী শহরে অবস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মহিলা হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম নাজমা খাতুন। তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুরের পালিবাজার এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে। ওই কলেজ থেকে ভূগোল বিষয়ে  সম্প্রতি অনার্স পাশ করেন তিনি। সেই হিসেবে ভূগোল বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তিচ্ছু ছিলেন নাজমা।

শুক্রবার দুপুরে হলের তার নিজ কক্ষের জানালার রডের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় তার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে তিনি নিজের ওপর অভিমান করে এ পথে পা বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

হোস্টেলের অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, নাজমা খাতুন থাকতেন রাজশাহী কলেজ মহিলা হোস্টেলের প্রধান ব্লকের ১০১ নম্বর কক্ষে। তার সঙ্গে আরো এক শিক্ষার্থী থাকতেন। তবে তিনি শীতের ছুটিতে বাড়ি গেছেন। ফলে ওই কক্ষটিতে গত কয়েকদিন ধরে একাই থাকতেন নাজমা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে তার কোনো সাড়া-শব্দ পাচ্ছিলেন হোস্টেলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত অন্য ছাত্রীরা হোস্টেল সুপারকে ডেকে আনেন। হোস্টেল সুপার জান্নাত আরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

সূত্র জানায়, নাজমা খাতুন রাজশাহী কলেজের স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনটিতেও ঠিকমতো সময় দিতে পারতেন না। এর মধ্যে তিনি আত্মহত্যা করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান জানান, মেয়েটির কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে সে লিখেছে ‘দাদি তোমার কথা রাখতে পারলাম না। তোমার কথা রাখবে আমার ছোট বোন। আমি চলে গেলাম।’

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি প্রায়ই অসুস্থ থাকতো। এসব কারণেই সে নিজের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুইসাইড নোটেও সে কাউকে দায়ী করে যায়নি।’