চাঁদপুর শহরের খাদ্যপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন যে নামটি সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে, তা হলো ‘কাচ্চি ডাইন’। প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি শহরের অন্যতম জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মানসম্মত খাবার, চমৎকার পরিবেশ এবং সুলভ মূল্যের সমন্বয়ে ‘কাচ্চি ডাইন’ শহরের খাদ্যরসিকদের কাছে এক বিশেষ অভিজ্ঞতার জায়গা করে নিয়েছে।
স্বাদে, গন্ধে আর পরিবেশনে অনন্য এই রেস্টুরেন্টের কাচ্চি বিরিয়ানি ইতোমধ্যে শহরজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
রেস্তোরাঁটিতে প্রতিদিনই ভিড় জমে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষদের, ব্যবহৃত উপকরণের মান, সাজানো-গোছানো পরিবেশ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা গ্রাহকদের সন্তুষ্টির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শহরের তরুণ-তরুণী, পরিবার কিংবা অফিসের আড্ডা সবার জন্য এটি এখন এক নির্ভরযোগ্য গন্তব্য।
শুধু বিক্রির অংক নয়, ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই এখন ‘কাচ্চি ডাইন’-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য। শহরের ভোজনরসিকরা জানাচ্ছেন, কাচ্চির হালকা মসলার সুবাস, নরম মাংস ও দমে রাঁধা বাসমতী চালের নিখুঁত মিশ্রণ তাদের মন জয় করে নিয়েছে।
স্থানীয় কলেজ ছাত্র রিফাত হোসেন বলেন, “চাঁদপুরে অনেক জায়গায় কাচ্চি খেয়েছি, কিন্তু কাচ্চি ডাইনের কাচ্চিতে এক আলাদা স্বাদ আছে। দাম অনুযায়ী মানও চমৎকার।”
একই মত প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী ফারহানা লিজা। তিনি বলেন, “পরিবার নিয়ে এখানে বেশ কয়েকবার খেয়েছি। স্বাদ, পরিবেশন আর সেবার মান—সব মিলিয়ে একেবারে সন্তোষজনক।”
রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানান, নরম-ঝরঝরে মাংস, সুগন্ধি বাসমতী চাল এবং ঐতিহ্যবাহী মসলার সমন্বয়ে প্রস্তুত তাদের বিশেষ কাচ্চি শহরের কাচ্চিপ্রেমীদের কাছে ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি দেখা যায় রেস্টুরেন্টের সামনে। মান বজায় রাখাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, তারা প্রতিদিনই মানসম্মত উপকরণ দিয়ে কাচ্চি প্রস্তুত করছেন এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর সেই সন্তুষ্টি যেন গ্রাহকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। আর
গ্রাহকদের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হওয়ায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তবুও মানুষের ভালোবাসা ও আগ্রহ তাদের আরও উৎসাহিত করছে। ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে তারা ভবিষ্যতে আরও খাবার আইটেম যুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।
চাঁদপুরের খাদ্য বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলেও, ‘কাচ্চি ডাইন’ খুব অল্প সময়েই ভোজনরসিকদের আস্থা অর্জন করেছে। স্বাদের এই সাফল্য ধরে রাখতে তারা মানসম্মত খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
শহরের অনেকে বলছেন, চাঁদপুরে মানসম্মত কাচ্চির যে অভাব ছিল, ‘কাচ্চি ডাইন’ সেটাই পূরণ করেছে। আর তাই রেস্তোরাঁটির সামনে প্রতিদিনই দেখা যায় ভিড়ের চিত্র।
চাঁদপুর শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে স্পেশাল র্যাফেল ড্র অফার। ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ টাকা বা তার বেশি টাকার খাবার নিলেই মিলবে একটি টোকেন। ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জমকালো র্যাফেল ড্র।
পুরস্কারসমূহ—
১ম পুরস্কার: মোটরসাইকেল, ২য়: ফ্রিজ, ৩য়: টিভি, ৪র্থ: স্মার্টফোন, ৫ম: চার্জার ফ্যান।
উল্লেখ্য: রেস্টুরেন্টের এই সাফল্য শুধুমাত্র ভালো খাবারের কারণে নয়, বরং ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা প্রদানের কারণে। শহরের খাদ্যপ্রেমীরা ইতোমধ্যেই এটি তাদের প্রিয় খাবারের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন।



































