বিজিএমইএ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেছেন, আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি। দেশের যদি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে পৌঁছাতে চায়, তাহলে নারী-পুরুষ সবাইকেই কাজ করতে হবে। কারণ অর্ধেক হচ্ছে নারী পুরো জনসংখ্যার। আবার ভোটের দিক দিয়েও অর্ধেক হচ্ছে নারী।
তাদের যদি আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের যে সড়ক তাদের সম্পৃক্ত করতে না পারি তাহলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না। বাংলাদেশের নারীরা পুরুষদের থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নয়। আপনারা দেখবেন এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পিছিয়ে নয়, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো করছে, এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তারা যখন নিজস্ব যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে থাকবে, আপনার কোনো অধিকার নাই তাদের পিছিয়ে রাখার।
মঙ্গলবার বেলা ৩ টা থেকে রাত পর্যন্ত উথলী ইউনিয়নের ১০টি স্থানে তিনি নির্বাচনী পথসভা করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
বাবু খান আরও বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী।
তিনি কখনো আপস করেননি। ওনি চাইলে বিলাসী জীবনযাপন করতে পারবেন। তবে তিনি দেশের জনগণ, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব রক্ষার কারণে আপস করেননি।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটা পরিবারে একটা করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। সেই কার্ডের অধিকারী হবেন গৃহকর্ত্রী এবং একটি কার্ডের অধীনে চার জন মানুষ থাকবেন। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো পাবেন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। যিনি এটা প্রাপ্য তিনি পাবেন। আর যারা প্রয়োজন নাই তিনি পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩১ দফার ভিতরে কৃষি উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কি করি, এ বছর যে ফসলের দাম বেশি সবাই মিলে হুমড়ি খেয়ে ওই ফসলটা পরবর্তী বছর লাগায়। তাতে দেখা যায় দাম কমে যায়। সেই ক্ষতি যেন না হয় তাহলে কী করতে হবে? প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কোল্ডস্টোরেজ থাকবে। সেই কোল্ডস্টোরেজে আপনার উৎপাদিত ফসল রাখতে পারবেন।
কিছু নিয়মনীতি মেনে এবং কৃষক যেন ন্যায্য মূল্য পান সেটাও আমাদের পরিকল্পনা আছে। সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন জাহিদ, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক ঝন্টু, সিনিয়র সহসভাপতি ইউনুচ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিম হায়দার হিরক, উথলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
উথলী ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক খোকন, সাধারণ সম্পাদক জিনারুল ইসলাম জান্টু, সেনেরহুদা ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন বিশ্বাস, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিল্লুর রহমান, সদস্যসচিব রিমন, উথলী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নাজমুল হুসাইন, সদস্যসচিব আরমান আলী, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হোসেন তুষার, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অমিত খান, সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন নয়ন প্রমুখ।






















































