খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে স্থাপত্য ডিসিপ্লিন ও শাতোত্তো আর্কিটেকচার ফর গ্রিন লিভিং এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ০২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলাস্থ সভাকক্ষে এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী এবং শাতোত্তো আর্কিটেকচারের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পার্টনার নুর ই জান্নাত জুঁই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। পরে স্বাক্ষরিত এমওইউ’র কপি উভয় পক্ষের মধ্যে বিনিময় করা হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী বলেন, রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জন ও জ্ঞানবিনিময়ের এক চমৎকার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থাপত্য-ধারা, পরিবেশ ও সংস্কৃতি প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা যেমন বিকশিত হবে, তেমনি তাদের পেশাগত দক্ষতাও আরও পরিশীলিত হয়ে উঠবে।
শাতোত্তো আর্কিটেকচারের প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি রফিক আজম বলেন, স্থাপত্য শুধু নকশার বিষয় নয়, এটি মানুষ, সংস্কৃতি ও প্রকৃতিকে বোঝার যাত্রা। তরুণ স্থপতিদের সেই যাত্রাকে শক্তিশালী ও অনুপ্রাণিত করতে শাতোত্তো আর্কিটেকচার বহুদিন ধরে এই স্কলারশিপ পরিচালনা করে আসছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাদের পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দেশের স্থাপত্যচর্চায় তারা নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি রফিক আজম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই ট্রাভেল স্কলারশিপ বিশ্বজুড়ে স্থাপত্যশিক্ষার্থীদের শেখার পরিসর বৃদ্ধি ও বহুসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়। ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক দেশে ইতোমধ্যে এই স্কলারশিপ সফলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এবার প্রথমবারের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এক সপ্তাহের আবাসিক কাজের অভিজ্ঞতার জন্য তালিকাভুক্ত যেকোনো দেশে- ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া-ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এতে রিটার্ন এয়ার টিকিট, থাকা-খাওয়া, দৈনিক ভাতা ও স্থানীয় পরিবহনের সব খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সহায়তা নগদ হিসেবে প্রদান করা হবে না। স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ শেষে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ও উপস্থাপনা জমা দিতে হবে। প্রতি বছর একজন শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের সুযোগ পাবেন।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. রুমানা আসাদ, প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মাসুদ রেজা, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শেখ মারুফ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাজিমুদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক শিবু প্রসাদ বসু উপস্থিত ছিলেন।






























