নিউজ ডেস্ক:
বলিউডের কোটিপতি তারকা ভাগ্যের পরিহাসে চূড়ান্ত আর্থিক দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছেন, এমন ঘটনা বিরল নয়। শ্রীদেবীর স্বামী প্রযোজক বনি কাপুর কয়েক কোটি টাকার মালিক। সম্প্রতি গুজব রটেছে তিনি নাকি নিয়তির নির্মম পরিহাসে পথের ভিখারিতে পরিণত হয়েছেন। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, সামান্য কয়েক হাজার টাকার জন্যেও অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাকে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেলে ভিন্ন কথা। সমস্ত রটনার উৎস বনির টুইটার অ্যাকাউন্ট। দীর্ঘ দিন ধরেই অ্যাকাউন্টটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রী শ্রীদেবীর একটি টুইট রিটুইট করেছিলেন বনি। সেই টুইটে দেখা গিয়েছিল কীভাবে নিজের পরবর্তী ছবি ‘পুলি’র জন্য নিজেকে সজ্জিত করেছেন শ্রীদেবী। তার পর থেকে আর কোনও পোস্ট হয়নি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে।
দিন কয়েক আগে সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই আচমকা এক সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পার্সোনাল মেসেজ যায়। সাংবাদিককে চমকে দিয়ে বনি সেই মেসেজে বলেন, ‘আমায় কিছু টাকা দিতে পারো?’
বিস্মিত সাংবাদিক জানতে চান, ‘কীভাবে এবং কত টাকা নিতে চান বনি। ‘ বনি উত্তর দেন, ‘১০ হাজার টাকা আমার পেটিএম অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দাও।
কৌতূহলী সাংবাদিক তখন জিজ্ঞাসা করেন, কী জন্য এই টাকা চাইছেন বনি। বনি বলেন, ‘লক্ষ্ণৌতে একটি শো করতে হবে, তার জন্যেই টাকা দরকার। ‘ এই বলে একটি মোবাইল নম্বর দেন বনি। সেই নম্বরটি আবার গুজরাটের। সাংবাদিক যখন সেই নম্বরে ফোন করেন, তখন অন্য প্রান্ত থেকে কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি।
ওই সাংবাদিক অবশ্য ওই নম্বরে কোনও টাকা পাঠাননি। কিন্তু এই ঘটনার পরেই বলিউডে রটে যায় যে, প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বনি। ১০ হাজার টাকার জন্যেও লোকের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাকে। পরে অবশ্য গোটা ঘটনা স্পষ্ট করেন খোদ বনিই। তিনি জানান, পুরোটাই হ্যাকারদের কাজ। কেউ বা কারা তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ওই সাংবাদিককে মেসেজ করেছেন। তিনি কিছুই জানেন না এই সম্পর্কে।
বনি কাপুর বলেন, আমি আমার অফিসকে নির্দেশ দিয়েছি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে খবর দিতে। অবস্থা আয়ত্তে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।