সোমবার (১ জুলাই) সকালে মেট্রোরেলের প্রথম ট্রিপ থেকে কার্যকর হয়েছে এ মূল্য সংযোজন কর।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল চালুর পর থেকে ভ্যাট মওকুফ ছিল টিকিটের দামে। গতকাল রবিবার (৩০ জুন) এই মেয়াদ শেষ হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সীর পাঠানো এক চিঠিতে দাম বৃদ্ধির কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ডিএমটিসিএল ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করলেও এনবিআরের পর্যালোচনায় দেখা যায়, রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী দেশকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। এই কার্যক্রমগুলোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে তহবিল প্রয়োজন, যার প্রাথমিক উৎস প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বিকল্প পণ্য আমদানি সক্ষমতা বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশের জন্য পর্যায়ক্রমে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাপক উন্নয়ন প্রচেষ্টা টেকসই করতে এবং কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে সরকারকে ধীরে ধীরে এসব সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। তারই অংশ হিসেবে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
নতুন অর্থবছরে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট আরোপ হলেও ছাড় পাবেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা। মেট্রোরেলের ভাড়ায় তারা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড় পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুটের কম উচ্চতার শিশুরা বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারবেন মেট্রোরেলে।