শিরোনাম :
Logo নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন রাবি উপাচার্য Logo সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রশাসনের শোক Logo তারেক রহমানের নির্দেশে সেই ড্রোন নির্মাতার বাসায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ Logo ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল Logo তারেক রহমানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত জানিয়ে যা বললেন সারজিস Logo নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছেপে শতকোটি টাকা লোপাট Logo সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে নতুন বার্তা আইন উপদেষ্টার Logo জুন শেষ না হতেই করোনায় চার মৃত্যু Logo ‘ইসরায়েল গোটা অঞ্চলে আগ্রাসনে নেমেছে, ইসলামী দেশগুলোর সম্মিলিত অবস্থান অত্যন্ত জরুরি’ Logo আরও দুই মোসাদের গুপ্তচর গ্রেপ্তার

বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি ভারতের

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ দাবি করেছেন। সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্যের পর এমন দাবি তুললো ভারত। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভি জানায়, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে “স্থলবেষ্টিত” বলে বর্ণনা করার এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের “সমুদ্র প্রবেশাধিকারের অভিভাবক” হিসেবে উল্লেখ করার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক) -এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরেন এবং ভারতের ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।

জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সাথেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।’

জয়শঙ্কর দাবি করেন, ‘বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।’

ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন রাবি উপাচার্য

বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি ভারতের

আপডেট সময় : ০৭:১৮:২৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘতম উপকূলরেখা নিজেদের দাবি করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ দাবি করেছেন। সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্যের পর এমন দাবি তুললো ভারত। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভি জানায়, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে “স্থলবেষ্টিত” বলে বর্ণনা করার এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের “সমুদ্র প্রবেশাধিকারের অভিভাবক” হিসেবে উল্লেখ করার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক) -এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরেন এবং ভারতের ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।

জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সাথেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।’

জয়শঙ্কর দাবি করেন, ‘বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।’

ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ‘আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।’