শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাশে বিএনপি ও সাধারণ জনতা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্র জনতার সাথে বিএনপি’র নেতারা রাজপথে নেমে আসে।

এ সময় সরকার বিরোধী মিছিল আর ম্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শহর। ক্ষনিকের জন্য থেমে যায় সবকিছু, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মুজিব চত্বর থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের শ্লোগানের ঢেও আছড়ে পড়ে রাস্তার দুই পাশে দাড়ানো উৎসুক জনতার মাঝে। তারাও হাত নেড়ে বিক্ষোভকারীদের স্বাগত জানাতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসুচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী, অভিভাবক এমনকি শিশুরাও অংশ নেয়। বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিলটি আরাপপুরে শেষ করতে চাইলেও বিএনপি-ছাত্রদলের চাপে তারা পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ করেন।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী হৃদয় হোসন, হুসাইন এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না খাতুন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা, ছাত্র হত্যার বিচার ও সারাদেশে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদের ৯ দফা দাবী পুরনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মিছিলের মাঝখানে বিএনপির জেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকার হটাও ১দফা দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এছাড়া দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা ছিল যথেষ্ট নমনীয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাশে বিএনপি ও সাধারণ জনতা

আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্র জনতার সাথে বিএনপি’র নেতারা রাজপথে নেমে আসে।

এ সময় সরকার বিরোধী মিছিল আর ম্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শহর। ক্ষনিকের জন্য থেমে যায় সবকিছু, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মুজিব চত্বর থেকে পায়রা চত্বর পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের শ্লোগানের ঢেও আছড়ে পড়ে রাস্তার দুই পাশে দাড়ানো উৎসুক জনতার মাঝে। তারাও হাত নেড়ে বিক্ষোভকারীদের স্বাগত জানাতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসুচিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, পেশাজীবী সংগঠন, আইনজীবী, অভিভাবক এমনকি শিশুরাও অংশ নেয়। বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর ঘুরে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা মিছিলটি আরাপপুরে শেষ করতে চাইলেও বিএনপি-ছাত্রদলের চাপে তারা পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচী শেষ করেন।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী হৃদয় হোসন, হুসাইন এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না খাতুন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা, ছাত্র হত্যার বিচার ও সারাদেশে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তিসহ তাদের ৯ দফা দাবী পুরনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মিছিলের মাঝখানে বিএনপির জেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকার হটাও ১দফা দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এছাড়া দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তারা ছিল যথেষ্ট নমনীয়।