শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ Logo হাবিপ্রবিতে প্রথম ধাপের ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে ৬৭.৭৫ শতাংশ। Logo রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল Logo পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছে, দাবি জয়শঙ্করের Logo হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় গরমিল: ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি Logo ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী Logo বাঁচতে চায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ধর্মীয় শিক্ষক আঃ ছাত্তার Logo নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা, কোন গ্রেডে কত বাড়ছে? Logo এবার মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ! গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo পঞ্চগড়ে ভারতীয় পুশ-ইন, নারী-শিশুসহ ২১ বাংলাদেশিকে সীমান্তে ফেরত

১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক : সিনহা

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০০:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৮০৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত ১১৬ এবং ১১৬ক অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, এ দুটি অনুচ্ছেদ সংবিধানের মূলস্তম্ভের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এটা থাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আইন ও সংবিধানের অভিভাবক হয়ে বলছি, এটা যদি না হয়, তবে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি কে করবে? সরকার, নাকি বিচারকরা করবে? তাদের (নিম্ন আদালতের বিচারক) নিয়ন্ত্রণ, বদলি কোনো কিছুই করতে পারছি না। তাই অসাংবিধানিক ধারাগুলো তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে আশা করছি। ’

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে ‘অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা’ এবং ১১৬ক অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা সম্পর্কে উল্লেখ আছে। ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে। ’

অন্যদিকে ১১৬ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন। ’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে ১১৬ অনুচ্ছেদ রাখার বিধান করেছিলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন বলতে কী রকম করতে হবে—এটাকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। ’ তিনি বলেন, অতীতে সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম, ত্রয়োদশ, ষোড়শ ইত্যাদি সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অসাংবিধানিক ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। সংবিধানে যেসব অসাংবিধানিক ধারা ছিল তা বাতিল করতে সুপ্রিম কোর্ট কুণ্ঠাবোধ করেননি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ নিতে হয়। তাঁদের শপথে দেখবেন, শুধুই সংবিধান রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু বিচারকদের শপথ একটু আলাদা। আমাদেরও সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হয়। তবে আমাদের শপথে সংবিধান ও আইন রক্ষার শপথ নিতে হয়। আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের ওপর অর্পিত এই দায়িত্ব পালন করতে পারব না। ’

সংসদ সংবিধানের মূলস্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না : প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আইন করার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। সংসদ চাইলে সম্পূর্ণভাবে সংবিধান সংশোধন করতে পারবে। এমনকি সংবিধান বন্ধ করে দিতে পারবে। সংবিধান আমাদের সুপ্রিম কোর্টকে বন্ধ করে দিতে পারবে। আজকে যদি সরকার বলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট থাকবে না, আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সংসদের এই ক্ষমতা আছে। কিন্তু সংসদ সংবিধানের মূলস্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না। বেসিক স্ট্রাকচার পরিপন্থী কোনো সংশোধনী বা আইন করতে পারবে না। ’

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘এই সংবিধান একটি সোশ্যাল ডকুমেন্ট। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই বলেছেন, এই দেশে এমন একটা সংবিধান হবে, যেখানে কমপ্লিট জাস্টিস থাকবে, রুল অব ল মেনে চলা হবে। এই সংবিধানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। আমরা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আমাদের সংবিধান এ রকমই ছিল। এই সংবিধানে মৌলিক অধিকার রক্ষিত আছে। যারা সমাজে অনুন্নত তাদেরও অধিকার এই সংবিধানে রক্ষিত আছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম এই সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। ’

সুপ্রিম কোর্ট লাইনচ্যুত হয়নি : প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গ হলো প্রশাসন (নির্বাহী বিভাগ), জাতীয় সংসদ (আইন প্রণয়ন বিভাগ) ও বিচার বিভাগ। প্রশাসন বেশ কয়েকবার লাইনচ্যুত হয়েছে। সংসদও হয়েছে। আইন করেছে। এমনকি সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগ, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট দায়িত্ব পালনে চুল পরিমাণ লাইনচ্যুত হয়নি। আমরা সংবিধান রক্ষা করেছি। দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি সংবিধান রক্ষায় কুণ্ঠাবোধ করিনি। ’

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সর্বস্তরের আইনজীবীরা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব ড. বশির আহমেদ ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি, আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আবদুল বাসেত মজুমদারকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ

১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক : সিনহা

আপডেট সময় : ১১:০০:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

নিম্ন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত ১১৬ এবং ১১৬ক অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, এ দুটি অনুচ্ছেদ সংবিধানের মূলস্তম্ভের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এটা থাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আইন ও সংবিধানের অভিভাবক হয়ে বলছি, এটা যদি না হয়, তবে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি কে করবে? সরকার, নাকি বিচারকরা করবে? তাদের (নিম্ন আদালতের বিচারক) নিয়ন্ত্রণ, বদলি কোনো কিছুই করতে পারছি না। তাই অসাংবিধানিক ধারাগুলো তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে আশা করছি। ’

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে ‘অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা’ এবং ১১৬ক অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা সম্পর্কে উল্লেখ আছে। ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে। ’

অন্যদিকে ১১৬ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন। ’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে ১১৬ অনুচ্ছেদ রাখার বিধান করেছিলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন বলতে কী রকম করতে হবে—এটাকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। ’ তিনি বলেন, অতীতে সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম, ত্রয়োদশ, ষোড়শ ইত্যাদি সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অসাংবিধানিক ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছিল। সংবিধানে যেসব অসাংবিধানিক ধারা ছিল তা বাতিল করতে সুপ্রিম কোর্ট কুণ্ঠাবোধ করেননি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ নিতে হয়। তাঁদের শপথে দেখবেন, শুধুই সংবিধান রক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু বিচারকদের শপথ একটু আলাদা। আমাদেরও সংবিধান রক্ষার শপথ নিতে হয়। তবে আমাদের শপথে সংবিধান ও আইন রক্ষার শপথ নিতে হয়। আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের ওপর অর্পিত এই দায়িত্ব পালন করতে পারব না। ’

সংসদ সংবিধানের মূলস্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না : প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের আইন করার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। সংসদ চাইলে সম্পূর্ণভাবে সংবিধান সংশোধন করতে পারবে। এমনকি সংবিধান বন্ধ করে দিতে পারবে। সংবিধান আমাদের সুপ্রিম কোর্টকে বন্ধ করে দিতে পারবে। আজকে যদি সরকার বলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট থাকবে না, আমাদের কিছুই করার থাকবে না। সংসদের এই ক্ষমতা আছে। কিন্তু সংসদ সংবিধানের মূলস্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না। বেসিক স্ট্রাকচার পরিপন্থী কোনো সংশোধনী বা আইন করতে পারবে না। ’

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘এই সংবিধান একটি সোশ্যাল ডকুমেন্ট। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই বলেছেন, এই দেশে এমন একটা সংবিধান হবে, যেখানে কমপ্লিট জাস্টিস থাকবে, রুল অব ল মেনে চলা হবে। এই সংবিধানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। আমরা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আমাদের সংবিধান এ রকমই ছিল। এই সংবিধানে মৌলিক অধিকার রক্ষিত আছে। যারা সমাজে অনুন্নত তাদেরও অধিকার এই সংবিধানে রক্ষিত আছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম এই সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। ’

সুপ্রিম কোর্ট লাইনচ্যুত হয়নি : প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গ হলো প্রশাসন (নির্বাহী বিভাগ), জাতীয় সংসদ (আইন প্রণয়ন বিভাগ) ও বিচার বিভাগ। প্রশাসন বেশ কয়েকবার লাইনচ্যুত হয়েছে। সংসদও হয়েছে। আইন করেছে। এমনকি সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়েছে। কিন্তু বিচার বিভাগ, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট দায়িত্ব পালনে চুল পরিমাণ লাইনচ্যুত হয়নি। আমরা সংবিধান রক্ষা করেছি। দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি সংবিধান রক্ষায় কুণ্ঠাবোধ করিনি। ’

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট শেখ আখতারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সর্বস্তরের আইনজীবীরা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনায় ছিলেন উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব ড. বশির আহমেদ ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতি, আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আবদুল বাসেত মজুমদারকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।