শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ Logo হাবিপ্রবিতে প্রথম ধাপের ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে ৬৭.৭৫ শতাংশ। Logo রাবিতে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল Logo পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছাড়াই হয়েছে, দাবি জয়শঙ্করের Logo হাসিনার নির্বাচনি হলফনামায় গরমিল: ব্যবস্থা নিতে ইসিকে দুদকের চিঠি Logo ১৫০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নি‌য়ে ঢাকায় আসছেন চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী Logo বাঁচতে চায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ধর্মীয় শিক্ষক আঃ ছাত্তার Logo নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা, কোন গ্রেডে কত বাড়ছে? Logo এবার মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ! গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার Logo পঞ্চগড়ে ভারতীয় পুশ-ইন, নারী-শিশুসহ ২১ বাংলাদেশিকে সীমান্তে ফেরত

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।