ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন ইসলামী রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে। যার মধ্যে কট্টরপন্থী সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাঈদ জালিলি ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুজ পাজেশকিন পেয়েছেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট।
ভোটে এগিয়ে আছেন সাঈদ জালিলি। তিনি আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছের লোক হিসেবে পরিচিত।
একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটার। দেশটির ধর্মীয় নেতারা যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির আশা করেছিলেন, এটি তার চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান এবং অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল।
ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি ‘রানঅফে’ গড়াবে এটি অনেকটাই নিশ্চিত।
ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে।
কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে রানঅফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সংস্কারবাদী মাসুজ পাজেশকানি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।
গত ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুজন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এরফলে গতকাল শুক্রবারের নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়।
নির্বাচন বিষয়ক বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছিল সংস্কারবাদী মাসুদ পাজেশকিন সর্বোচ্চ ভোট পাবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স