নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক সমুদ্রে সীমায় আটকানো যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র ড্রোনটি চীন সরকার ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার ড্রোনটি আটক করেছিল চীন।
এদিকে এই আটক ড্রোন নিয়েও চীনের সমালোচনা করতে ছাড়েননি নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, আমাদের উচিত চীনকে বলা, আমাদের ড্রোনটির প্রয়োজন নেই এবং তারা এই চুরি করা ড্রোন নিজেদের কাছে রাখতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ১৯৭৯ সাল নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি ভঙ্গ করে ট্রাম্প তাইওয়ানের কোন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর চীনের আর্থিক ও বাণিজ্যিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেন টুইটারে। এ ছাড়াও দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক স্থাপনা তৈরির জন্য টুইটারে চীনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে চীনের পণ্যের ওপর বাড়তি কর আরোপের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
ড্রোন প্রসঙ্গে অবশ্য ট্রাম্পের সঙ্গে একমত নয় মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক বলেন, চীনের (প্রতিরক্ষা বিভাগের) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা সরাসরি কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে দ্রুত ড্রোনটি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, সঠিক আচরণ বিধি মেনে ড্রোনটি ফেরত দেয়া হবে। অবশ্য কখন বা কিভাবে ফেরত দেয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড্রোন আটক করে চীন যা করেছে তা সঠিক আচরণ নয় এবং অসহযোগিতামূলক।