নিজস্ব প্রতিনিধি:ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা প্রান্তিক গ্রাম গোয়ারীতে তাইফ এগ্রো নামের বাগানে গত ৪ বছর যাবৎ ২০০ টির বেশি গাছে চাষাবাদ হচ্ছে বিদেশি ফল রামবুটান।
উন্নত জাতের এই ফল খেতে সুমিষ্ট ও দোখতে টকটকে লাল।কেউ কেউ লিচুর উন্নত জাত হিসেবে বলে থাকেন। তবে এটি লিচু না। লটকন ও লিচুর হাইব্রিড জাত। রামবুটান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আগত একটি ট্রপিকাল ফল, যা তার লাল, কিছুটা খোঁচানো চামড়া ও মিষ্টি।
উদ্যোক্তারা থাইল্যান্ডে এই ফলের চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হয় । বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের আবহাওয়া কিছুটা মিল থাকায় তারা আসা করেন ভালো ফলনের। চাচা – ভতিজার ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে সাফল্যের ছোঁয়া পেয়েছেন তারা। প্রতি গাছে ১০০ কেজির বেশি ফল ধরে। বারোমাসি এই ফল পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশে এই ফলের চাহিদা অনেক বেশি, দূর দুরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন বাগানে এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ফল বিক্রি করছেন দেশ ও দেশের বাহিরে।
বাগানের মালিক বলেন, ‘আমাদের এই ফল নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের ফলের স্বাদ,গুনগত মান ও চাহিদা অনেক বেশি। আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে চাই।সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারবাো।
এলাকাবাসী ও ক্রেতা মোঃ কামরুজ্জামান ঢালী বলেন, চার বছর আগে ভেবেছি ঢাকা থেকে এসে ওনারা সময় ও অর্থ নষ্ট করছেন। কিন্তু এখন বাগান পরিদর্শন করে এবং ফল খেয়ে বুঝতে পারলাম অনেক ভালো ফলের চাষাবাদ হচ্ছে। তাদের এই ব্যতিক্রম ধর্মী কাজ আমাদের গ্রামের মানুষ খুশি। এই বিদেশী ফল আমরা খেতে পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত। আমরা এলাকাবাসী চাই এই ফলের চাষাবাদ আরো বৃহৎ পরিসরে সমগ্র বাংলাদেশের হোক।
উল্লেখ্য, রামবুটান একটি সুস্বাদু, কম ক্যালোরি, উচ্চ পানি ও ভিটামিন-সমৃদ্ধ ফল, যা রোগ-প্রতিরোধী, পাচনতন্ত্রে সহায়ক এবং হাইড্রেটিং সুবিধা দেয়। বাংলাদেশে এর চাষ সম্প্রসারিত হলেও বাজারে এখনও তুলনামূলকভাবে নতুন তবে জায়গা করে নিচ্ছে। খাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ, সংরক্ষণ সহজ, এবং খাবারের উপযোগীতা বেশ বহুমুখী।