দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি ) প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আইইই কম্পিউটার সোসাইটি সামার সিম্পোজিয়াম ২০২৫ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ও শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ভবনে আয়োজিত এই আয়োজনের অংশ নেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । দেশের সম্ভাবনাময় আইটি খাতকে ঘিরে এমন বড় পরিসরে আলোচনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ হাবিপ্রবিতে এবারই প্রথম।
হাবিপ্রবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো শামসুল আরেফিন এবং আইইইই সিএস বিডিসি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. কে. এম. আজহারুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন । টাইটেল স্পন্সর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকনেট ।
সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসে – দেশীয় মেধাবীদের দক্ষ করে তুলতে হলে কারিকুলাম হালনাগাদ, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ, এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা বলেন, আমি হাবিপ্রবিতে যোগদানের পর ডীন মহোদয়গণের সাথে অনুষ্ঠিত প্রথম মিটিং থেকেই অনুষদ গুলোকে এ ধরণের সিম্পোজিয়াম ও আন্তজার্তিক কনফারেন্স আয়োজনের কথা বলে আসছি । ২০২৫ সালে প্রত্যেক অনুষদকে অন্তত একটা করে কনফারেন্সের আয়োজন করতে বলেছি, আশা করি সকলেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। এর মাধ্যমে হাবিপ্রবিকে দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে ঢাকার সাথে দিনাজপুরের দূরত্ব বা যোগাযোগ ব্যবস্থার বাধা একটা সমস্যা, তারপরও আমরা চাইলে এটা করা সম্ভব ।
এ আয়োজনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি যেদিন প্রথম এই সিম্পোজিয়ামের বিষয়ে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলি । স্যার শোনা মাত্রই রাজি হয়ে যান এবং বলেন এজন্য তার পক্ষে যা যা করা সম্ভব তিনি করবেন । তার দিকনির্দেশনাতেই এ ধরণের বড় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারছি, আমরা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ । বিশ্বব্যাপী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হলে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে, আর সে লক্ষ্যেই এই আয়োজন।
সিম্পোজিয়ামের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। তারা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং হাতে-কলমে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেন।
সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “হাবিপ্রবিতে এই প্রথম এমন বৃহৎ আয়োজন হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই সম্মেলনের অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে কাজে দিবে ।