শিরোনাম :
Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা Logo সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কয়রায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীর পল্লীতে সাপের দংশনে কিশোরীর মৃত্যু Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় এক বছরে ১ হাজার ১৪১টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে মানুষের বাক স্বাধীনতার প্রচার যেমন সর্বত্র বেড়েছে তেমনি বেড়েছে অপপ্রচারও। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকায় অনেকেই শুধুমাত্র ভাইরাল হওয়ার প্রত্যাশায় অধিক প্রচারের জন্য আলোচনা পর্যালোচনা এবং নিয়ন্তান্ত্রিক গবেষণা ব্যতীত যেকোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করছেন, এতে তাৎক্ষণিক প্রচারণা পেলেও সময়ের বিবর্তনে তথ্য বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন অনেকে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গন এর উপর। আলোচনায় থাকতে অনেকেই তারকাদের টার্গেট করে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্প্রতি চিত্র পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ চিত্র নায়ক আলমগীর, ডি এ তায়েব, চিত্র পরিচালক শাহীন সুমন, ইকবাল, ফিল্ম ক্লাবের সাবেক সভাপতি শামসুল আলম সহ বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের গুঞ্জন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। যাতে শিল্পী এবং শিল্পাঙ্গনের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ সম্পর্কে চলচ্চিত্র অভিনেতা সুমন মাহমুদ সামাজিক মাধ্যম তার ফেসবুকে পর্যালোচনা মূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা হুবহু তুলে ধরা হলো –

” ৯০ দশক থেকে এখন পর্যন্ত ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায়,- মঞ্চ থেকে গ্রাম্য যাত্রা পালায় নবীন – প্রবীণ এবং শিশু শিল্পী সবার মুখে এবং মনে যখন একটি নাম এসেছে ডি এ তায়েব তখন সবার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারিত হয়েছে যার প্রতিধ্বনি সব সময় শিল্পাঙ্গনের সর্বত্র শোনা যায় – ” শিল্পীদের জন্য ডি এ তায়েব শেষ আশ্রয়স্থল ”  – শিল্পীদের কল্যাণের জন্য তার চলমান জীবদ্দশায় এ মানুষটি এমন কোন প্রচেষ্টা বাকি নেই যে করেননি – যখনই যে শিল্পী বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো সমস্যায় পড়েছে মানুষটি ছুটে গিয়েছেন তাকে সাহায্য করতে এবং কোন না  কোন ভাবে উদ্ধার করেছেন ওই শিল্পীর ঘটে যাওয়া বিপদ থেকে। শুধুমাত্র শিল্পীদের কল্যাণের জন্য তিনি বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন অথবা কখনো তৈরি করেছেন বিভিন্ন সংগঠন – যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে নিজের জন্য চিন্তা না করে শিল্পীদের কল্যাণে দাঁড়িয়েছেন – শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে  কখনোই পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারেননি – একটা সময় আমরা পরিবারও সেটি মেনে নিয়েছি কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি পুরো শিল্পী জনগোষ্ঠী তার পরিবার আর তিনি তার পরিবারের সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবেন।

ডি এ তায়েব আমার ভাই বলে কথাগুলো বলছি না –  এ মানুষটি সম্বন্ধে কিছু বলার আগে বা কিছু লিখার আগে যে কোন শিল্পীর কাছ থেকে তার সম্পর্কে একটু জেনে নেবেন। কারণ আপনার লেখা অথবা ভুল একটি মন্তব্য বিশাল অভিমানের সৃষ্টি করতে পারে – দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে শিল্পাঙ্গন এর সাথে মানুষটির। এতে আপনার হয়তো কোন ক্ষতি হবে না – কিন্তু বঞ্চিত হবে শত শত হতদরিদ্র শিল্পী বৃন্দ।
ডি এ তায়েব সমন্ধে বুঝতে হলে – তার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করুন,  এক কাপ চা খান অথবা আল্লাহ না করুক কখনো যদি কোন বিপদে পড়েন তবে সাহায্যের জন্য হলেও তাকে একটি কল করুন – তাহলে বুঝতে পারবেন কেন শিল্পীদের মনে ডি এ তায়েব একজন বড় মনের এবং মানের মানুষ। ”

এমতা অবস্থায় এসব অপপ্রচার বন্ধের উদ্দেশ্যে শিল্পী এবং কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন এবং সাধারণ জনগণকে ভুল এবং মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা সুমন মাহমুদ।
সুমন মাহমুদ
চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সংগীত শিল্পি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে মানুষের বাক স্বাধীনতার প্রচার যেমন সর্বত্র বেড়েছে তেমনি বেড়েছে অপপ্রচারও। মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকায় অনেকেই শুধুমাত্র ভাইরাল হওয়ার প্রত্যাশায় অধিক প্রচারের জন্য আলোচনা পর্যালোচনা এবং নিয়ন্তান্ত্রিক গবেষণা ব্যতীত যেকোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করছেন, এতে তাৎক্ষণিক প্রচারণা পেলেও সময়ের বিবর্তনে তথ্য বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন অনেকে। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গন এর উপর। আলোচনায় থাকতে অনেকেই তারকাদের টার্গেট করে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

সম্প্রতি চিত্র পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ চিত্র নায়ক আলমগীর, ডি এ তায়েব, চিত্র পরিচালক শাহীন সুমন, ইকবাল, ফিল্ম ক্লাবের সাবেক সভাপতি শামসুল আলম সহ বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের গুঞ্জন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। যাতে শিল্পী এবং শিল্পাঙ্গনের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ সম্পর্কে চলচ্চিত্র অভিনেতা সুমন মাহমুদ সামাজিক মাধ্যম তার ফেসবুকে পর্যালোচনা মূলক স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা হুবহু তুলে ধরা হলো –

” ৯০ দশক থেকে এখন পর্যন্ত ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায়,- মঞ্চ থেকে গ্রাম্য যাত্রা পালায় নবীন – প্রবীণ এবং শিশু শিল্পী সবার মুখে এবং মনে যখন একটি নাম এসেছে ডি এ তায়েব তখন সবার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারিত হয়েছে যার প্রতিধ্বনি সব সময় শিল্পাঙ্গনের সর্বত্র শোনা যায় – ” শিল্পীদের জন্য ডি এ তায়েব শেষ আশ্রয়স্থল ”  – শিল্পীদের কল্যাণের জন্য তার চলমান জীবদ্দশায় এ মানুষটি এমন কোন প্রচেষ্টা বাকি নেই যে করেননি – যখনই যে শিল্পী বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো সমস্যায় পড়েছে মানুষটি ছুটে গিয়েছেন তাকে সাহায্য করতে এবং কোন না  কোন ভাবে উদ্ধার করেছেন ওই শিল্পীর ঘটে যাওয়া বিপদ থেকে। শুধুমাত্র শিল্পীদের কল্যাণের জন্য তিনি বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন অথবা কখনো তৈরি করেছেন বিভিন্ন সংগঠন – যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে নিজের জন্য চিন্তা না করে শিল্পীদের কল্যাণে দাঁড়িয়েছেন – শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে  কখনোই পরিবারের জন্য সময় বের করতে পারেননি – একটা সময় আমরা পরিবারও সেটি মেনে নিয়েছি কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি পুরো শিল্পী জনগোষ্ঠী তার পরিবার আর তিনি তার পরিবারের সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবেন।

ডি এ তায়েব আমার ভাই বলে কথাগুলো বলছি না –  এ মানুষটি সম্বন্ধে কিছু বলার আগে বা কিছু লিখার আগে যে কোন শিল্পীর কাছ থেকে তার সম্পর্কে একটু জেনে নেবেন। কারণ আপনার লেখা অথবা ভুল একটি মন্তব্য বিশাল অভিমানের সৃষ্টি করতে পারে – দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে শিল্পাঙ্গন এর সাথে মানুষটির। এতে আপনার হয়তো কোন ক্ষতি হবে না – কিন্তু বঞ্চিত হবে শত শত হতদরিদ্র শিল্পী বৃন্দ।
ডি এ তায়েব সমন্ধে বুঝতে হলে – তার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করুন,  এক কাপ চা খান অথবা আল্লাহ না করুক কখনো যদি কোন বিপদে পড়েন তবে সাহায্যের জন্য হলেও তাকে একটি কল করুন – তাহলে বুঝতে পারবেন কেন শিল্পীদের মনে ডি এ তায়েব একজন বড় মনের এবং মানের মানুষ। ”

এমতা অবস্থায় এসব অপপ্রচার বন্ধের উদ্দেশ্যে শিল্পী এবং কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন এবং সাধারণ জনগণকে ভুল এবং মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা সুমন মাহমুদ।
সুমন মাহমুদ
চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সংগীত শিল্পি