এরপর জানান, অনেক প্রত্যাশা নিয়ে শ্রম ও মেধা খরচ করে গান করেন তিনি। কিন্তু সিনেমায় গান করার পর সেগুলো হয়ে যায় নায়ক বা পরিচালকের গান।
আর সিনেমার গান করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্রিন্স মাহমুদ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বড় বাজেটের চলচ্চিত্রের গান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেগুলো এমন প্রস্তাব ছিল যা অনেকের জন্য কল্পনারও বাইরে।
তবু সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন এই গীতিকার।
নিজের এমন সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক সিনেমার কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। এমন একজনকে না বলেছি যাকে কেউ ফেরায় না। এমন একজন আছেন যার সঙ্গে দেখা করতেও মানুষ অপেক্ষা করে থাকে।
অনেক সময় সিনেমার গানে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী শ্রম ও মেধা দেওয়ার সুযোগ থাকে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর এসব কারণেই সিনেমার গান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রিন্স মাহমুদের কথায়, ‘সিনেমায় আসলে আমার নতুন কিছু দেওয়ার নেই।
যে যা-ই বলুক, সিনেমার গান হয় মূলত নায়ক কিংবা পরিচালকের ভাবনা থেকে। সেখানে আমার নিজস্বতা থাকে না। অকারণে ক্রেডিট নেওয়ার কোনো মানে হয় না’
সিনেমা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কথা বললেও প্রিন্স মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি থাকবেন শুধু অডিও গানের জগতে। সেখানে তিনি নিজের সৃষ্টিশীলতা ও মনের কথা গানের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। তাই এই আঙিনায়ই থেকে যাবেন আমৃত্যু।
এই গায়ক আরো লেখেন, “আমি কেবল অডিও গানের মাঝেই থাকব। যেখানে থাকবে ‘মা’, ‘এত কষ্ট কেন ভালবাসায়’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ (আমার সোনার বাংলা)’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’, ‘তুমি বরুণা হলে মাটি হব মাটি’, ‘কেন করো কান্নাকাটি’, তাহসানের ‘আমার ছিপ নৌকোয় এসো’, তপুর ‘সোনার মেয়ে’, তুহিনের ‘আলো’ বা মিনারের ‘একাকিত্বের কোনো মানে নেই’-এর মতো গান।”