জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম।
গতকাল রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের গেস্ট রুমে সিয়াম প্রায় ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিটিং করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম হলের গেস্টরুমের দরজা বন্ধ করে প্রায় ৪০-৫০ জনের অধিক ভোটারের উপস্থিতিতে ভোট চাচ্ছেন, নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করছেন।
এদিকে নির্বাচনি আচরনবিধির ৭(খ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিত ২৫জনের অধিক মানুষের একসাথে জমায়েত হওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসিক হলটির এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, গতকাল রাতে গেস্টরুমে কিছু মামা একত্রিত হয়ে মিটিং করতেছিল। পরে তারা রাস্তায় গিয়েও হট্টগোলের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছিল।
জাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে হলগুলোতে নিয়মিত এ ধরণের বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনের দুইদিন পরেই পরীক্ষা শুরু হবে কিছু ডিপার্টমেন্টে। তাই এসব কোলাহলে তাদের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক শিক্ষার্থী।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তুহিন মিয়া বলেন, গতকাল রাতে আমরা দেখেছি সিয়াম হলের গেস্টরুমে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং করছেন। এতে করে হট্টগোলেের সৃষ্টি হয়েছিল উক্ত এলাকায়। মিটিং শেষে হলের সামনের রাস্তায় গিয়েও তারা ভীড় জমায়। এটা যদি নির্বচনি আচরণবিধির বিরুদ্ধে যায় তাহলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
এদিকে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, সিয়াম ভাই আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবাইকে ডেকেছিলেন তাই আমরা এখানে আসছি এবং নির্বাচন নিয়ে মিটিং করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ সিয়াম বলেন, “কাজী নজরুল হলে আমরা কোন প্রোগ্রাম করিনি। আমি কয়েকজন সহ সেই হলে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলাম পরে গেস্টরুমে কিছু শিক্ষার্থী ডাকলে তাদের সাথে গিয়ে কথা বলি।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে তদারকি করি যে এমন কোন ঘটনা ঘটছে কি না। তখন সাথেসাথেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের নজরে না আসলে আমরা অভিযোগপত্র গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।