বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

আলোকিত পথপ্রদর্শক: পীরে কামেল শাহসূফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.)

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
  • ২০৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসে যেসব নাম মহিমাময় হয়ে চিরকাল আলো ছড়াবে, হযরত শাহ সুফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) তাঁদের অন্যতম। তিনি শুধু একজন পীর বা সূফি ছিলেন না, ছিলেন আত্মিক জ্ঞানের এক উজ্জ্বল দীপশিখা—যাঁর আলো আজও বহু হৃদয়ে নীরবে দীপ্তি ছড়ায়।

তিনি বিশ্বাস করতেন, জীবনের প্রকৃত সাফল্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সঃ)-এর প্রতি আত্মসমর্পণে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মধ্যেই নিহিত।এই আধ্যাত্মিক সাধক, যিনি ইসলামি দর্শন, মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মিক উন্নতির পথে মানুষের জন্য আদর্শ ছিলেন। ।

তিনি মানুষের আত্মিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। তাঁর উপদেশ ছিল সহজ, কিন্তু গভীর।তাঁর মুখনিঃসৃত বিভিন্ন উক্তি মানুষের অন্তরে অনুপ্রেরণা জাগাতো, যেমন— “মনি মুক্তার কদর বাদশা জানে, আর জানে তার জাওহারী; জানে বুলবুল ফুলের কদর, আর জানে তা শাহপরী”—যা দ্বারা তিনি মানুষের আত্মমূল্য উপলব্ধি করতে শিখিয়েছেন।

তিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে বলেছেন এবং আত্মিক উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করতে উপদেশ দিয়েছেন।বাংলাদেশের সুফি সাধকদের ঐতিহ্যবাহী ধারা বহন করে চলা এই প্রজ্ঞাবান আধ্যাত্মিক ব্যক্তি স্থানীয়দের কাছে সৈয়দ সাহেব (পীর সাহেব) নামে পরিচিত ছিলেন।

বংশ পরিচয়-তিনি ছিলেন আহলে বাইতের বংশধর—বড়পীর গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর বংশের।তাঁর পারিবারিক বংশক্রমে একের পর এক পীরে কামেল, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক ও গাউছুল আজম-দের আবির্ভাব ঘটে, যাঁদের মধ্যে আছেন ।

বাগদাদ শরীফের কুতুবে আকতাব আবদাল গাউছুল আজম হযরত মাওলানা সৈয়দ নুর উদ্দীন (রহ.) এর পুত্র পীরে কামেল সৈয়দ রিয়াজ উদ্দীন (রহ.) উনার উত্তরসূরী মাওলানা সৈয়দ ইমাম উদ্দীন (রহ.) এর পুত্র সৈয়দ সিদ্দিক আহমদ (রহ.)এই পরম্পরা থেকে আগত সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) ছিলেন এই ধারার এক উজ্জ্বল প্রতিনিধিত্বকারী। তাঁর পুত্র সৈয়দ ফখর উদ্দীন।

বাংলায় আগমন ও স্থায়ী আবাস-উল্লেখযোগ্য যে, তাঁর পিতৃপুরুষ কুতুবে অকতাব আবদাল হযরত মাওলানা সৈয়দ নুর উদ্দীন (রহ.) অন্যান্য আউলিয়া কেরামগণের সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাগদাদ শরীফ হতে বাংলায় আগমন করেন। তাঁরা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাহেবদীনগর গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করেন।

ওফাত- ২২শে শাবান ১৪২০ হিজরি (১লা ডিসেম্বর ১৯৯৯ খ্রি.)চিরতরের জন্য পরপারে পাড়ি জমান এই আলোর মানুষটি।তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয় সাহেবদীনগর গ্রামে।তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও শিক্ষা আজও অনুসারী, পরিবার ও ভক্তদের মাধ্যমে চর্চিত হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

আলোকিত পথপ্রদর্শক: পীরে কামেল শাহসূফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.)

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসে যেসব নাম মহিমাময় হয়ে চিরকাল আলো ছড়াবে, হযরত শাহ সুফি সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) তাঁদের অন্যতম। তিনি শুধু একজন পীর বা সূফি ছিলেন না, ছিলেন আত্মিক জ্ঞানের এক উজ্জ্বল দীপশিখা—যাঁর আলো আজও বহু হৃদয়ে নীরবে দীপ্তি ছড়ায়।

তিনি বিশ্বাস করতেন, জীবনের প্রকৃত সাফল্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সঃ)-এর প্রতি আত্মসমর্পণে এবং আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মধ্যেই নিহিত।এই আধ্যাত্মিক সাধক, যিনি ইসলামি দর্শন, মানবিক মূল্যবোধ ও আত্মিক উন্নতির পথে মানুষের জন্য আদর্শ ছিলেন। ।

তিনি মানুষের আত্মিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেন। তাঁর উপদেশ ছিল সহজ, কিন্তু গভীর।তাঁর মুখনিঃসৃত বিভিন্ন উক্তি মানুষের অন্তরে অনুপ্রেরণা জাগাতো, যেমন— “মনি মুক্তার কদর বাদশা জানে, আর জানে তার জাওহারী; জানে বুলবুল ফুলের কদর, আর জানে তা শাহপরী”—যা দ্বারা তিনি মানুষের আত্মমূল্য উপলব্ধি করতে শিখিয়েছেন।

তিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে বলেছেন এবং আত্মিক উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করতে উপদেশ দিয়েছেন।বাংলাদেশের সুফি সাধকদের ঐতিহ্যবাহী ধারা বহন করে চলা এই প্রজ্ঞাবান আধ্যাত্মিক ব্যক্তি স্থানীয়দের কাছে সৈয়দ সাহেব (পীর সাহেব) নামে পরিচিত ছিলেন।

বংশ পরিচয়-তিনি ছিলেন আহলে বাইতের বংশধর—বড়পীর গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর বংশের।তাঁর পারিবারিক বংশক্রমে একের পর এক পীরে কামেল, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক ও গাউছুল আজম-দের আবির্ভাব ঘটে, যাঁদের মধ্যে আছেন ।

বাগদাদ শরীফের কুতুবে আকতাব আবদাল গাউছুল আজম হযরত মাওলানা সৈয়দ নুর উদ্দীন (রহ.) এর পুত্র পীরে কামেল সৈয়দ রিয়াজ উদ্দীন (রহ.) উনার উত্তরসূরী মাওলানা সৈয়দ ইমাম উদ্দীন (রহ.) এর পুত্র সৈয়দ সিদ্দিক আহমদ (রহ.)এই পরম্পরা থেকে আগত সৈয়দ আবুল ওলা (রহ.) ছিলেন এই ধারার এক উজ্জ্বল প্রতিনিধিত্বকারী। তাঁর পুত্র সৈয়দ ফখর উদ্দীন।

বাংলায় আগমন ও স্থায়ী আবাস-উল্লেখযোগ্য যে, তাঁর পিতৃপুরুষ কুতুবে অকতাব আবদাল হযরত মাওলানা সৈয়দ নুর উদ্দীন (রহ.) অন্যান্য আউলিয়া কেরামগণের সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাগদাদ শরীফ হতে বাংলায় আগমন করেন। তাঁরা চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাহেবদীনগর গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করেন।

ওফাত- ২২শে শাবান ১৪২০ হিজরি (১লা ডিসেম্বর ১৯৯৯ খ্রি.)চিরতরের জন্য পরপারে পাড়ি জমান এই আলোর মানুষটি।তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয় সাহেবদীনগর গ্রামে।তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও শিক্ষা আজও অনুসারী, পরিবার ও ভক্তদের মাধ্যমে চর্চিত হচ্ছে।