শিরোনাম :
Logo রাজধানীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা Logo বাংলাদেশি না বাঙালি : আমাদের ভবিষ্যৎ কোথায় Logo শিশুদের ঝলসানো শরীর যেন ঝলসানো বাংলাদেশ Logo বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় কচুয়ায় ওয়ার্ড যুবদলের আয়োজনে দোয়া মাহফিল Logo বিনয়কাঠিতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে জনগনের হাতে আটক ২ পুলিশে সোপর্দ Logo পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ Logo সাজিদের ইস্যুতে ইবি শিক্ষার্থীদের মৌন অবস্থান, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি Logo ফিলিপাইনে ভয়াবহ বন্যা Logo ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ১৫ Logo বীরগঞ্জে রাস্তার গাছ কাটা ও চাঁদা দাবীর অপরাধে এনসিপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

শিশুদের ঝলসানো শরীর যেন ঝলসানো বাংলাদেশ

  • সম্পাদকীয় ডেস্ক সম্পাদকীয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • ৭১৭ বার পড়া হয়েছে

||এলাহী নেওয়াজ খান ||

জুলাই গণহত্যার শোক কাটতে না কাটতে ঠিক এক বছরের মাথায় এই জুলাইতেই মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি আমাদের হৃদয় ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। পৃথিবীতে এমন কোনো ভাষা নেই, যা দিয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ লেখা যায়। যে শিশুগুলো এখনো মায়ের আঁচল ধরে ঘুমায় তারা আজ যেভাবে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে, যারা এখনো হাসপাতালের শয্যায় অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে তাদের এই কষ্টের কথা কোন ভাষায় লিখব জানি না।

একটি ফুটেজে আগুনে পুড়ে চামড়া ঝুলে পড়া অবস্থায় যে শিশুটিকে বাঁচার জন্য দৌড়াতে দেখেছি তা সহ্য করা যায় না। অতীতে এ দেশের মানুষ অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। কখনো লঞ্চডুবি, কখনো ট্রেন কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯১৩ সালের এপ্রিলে সাভারে ধসেপড়া রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি এখনো মানুষ ভুলে যায়নি। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিল। কিংবা ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নেপালগামী বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা এখনো সবার মনে আছে। সেই দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৫৫ বছরে ৪৪টি প্রশিক্ষণ বিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছে ২৫ জন পাইলটসহ শতাধিক মানুষ। কিন্তু ওই সব কিছু ছাপিয়ে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি এ দেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরকে বিষাদময় করে তুলেছে।

গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য আমাদের স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল করছে। সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল দুই শতাধিক মানুষ। ওই দৃশ্য বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে ব্যথিত করেছিল। কিন্তু ওই দুর্ঘটনার মাত্র ৩৯ দিনের মাথায় বাংলাদেশে, এই ঢাকা শহরে এমন একটি হৃদয় ভেঙে যাওয়া দুর্ঘটনা দেখতে হবে- তা কল্পনায়ও আসেনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছিল, আর বাংলাদেশ বিমানের প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হলো উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিটের মাথায়।

বুড়ো খোকারা যখন ক্ষমতার লড়াইয়ে ফেতনা-ফ্যাসিবাদে লিপ্ত, যখন একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত, যখন ঘৃণা বিদ্বেষমূলক শব্দ একে অপরের দিকে নিক্ষেপ করছে, তখন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাণপ্রিয় ছোট্ট খোকাদের ঝলসানো শরীর যেন আমাদের বিদ্রুপ করছে। মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশই ঝলসে গেছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসন, বেপরোয়া দুর্নীতি, আইনের শাসনের অভাব, চরম অব্যবস্থা ও বিচারহীনতা আমাদের সামনে এমন এক অমানবিক রাষ্ট্র দাঁড় করিয়েছে, যা কেবল বেদনাদায়ক অধ্যায় উপহার দিয়ে থাকে। এ রকম এক বাংলাদেশ আমরা কখনোই প্রত্যাশা করিনি।

ঢাকায় চলাচলকারী ছোট্ট কালো ক্যাবগুলোর কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। এগুলোর গায়ে লেখা ছিল- ‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’। অসাধারণ একটি স্লোগান। অর্থাৎ- যেকোনো দুর্ঘটনায় যারা মারা যান তাদের পরিবার-পরিজনের কান্না সারা জীবন ধরে চলে। যাদের সন্তান কিংবা প্রিয়জন হারিয়েছে তাদের কান্না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থামবে না। আমার ছোটভাই বাহার দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার পর আমার বাবা-মাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাঁদতে দেখেছি। যখনই মনে পড়ত, আমার মা বসে বসে কাঁদতেন।

মাইলস্টোনে শহীদ হওয়া শিশুদের আগুনে ঝলসানো মুখ ও শরীর দেখে আমরা যেখানে চোখের পানি থামাতে পারছি না; সেখানে তাদের মা-বাবাদের অবস্থা কী নিদারুণ হতে পারে সহজেই বোঝা যায়।

যদিও এটি একটি দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনা মানে দুর্ঘটনাই। তবুও কোনো কোনো দুর্ঘটনা এতটাই বিয়োগান্ত হয়ে ওঠে, যা মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইলস্টোনের শিশুদের দুর্ঘটনা সে রকমই একটি। তবে সর্বশেষে যে কথাটি বলা প্রয়োজন সেটি হলো- নিয়তির ওপর কারো হাত নেই। তবে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রাখার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করাও ফরজ। আল্লাহ তায়ালা এমন নির্দেশই দিয়েছেন। সেজন্য আমরা দেখতে পাই, ওহুদের যুদ্ধে রাসূল পাক সা: বর্ম পরিধান করেছিলেন। সে কারণেই রাষ্ট্রের উচিত তার জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা। যেসব ত্রুটির জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

যদিও এটি একটি দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনা মানে দুর্ঘটনাই। তবুও কোনো কোনো দুর্ঘটনা এতটাই বিয়োগান্ত হয়ে ওঠে, যা মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইলস্টোনের শিশুদের দুর্ঘটনা সে রকমই একটি। তবে সর্বশেষে যে কথাটি বলা প্রয়োজন সেটি হলো- নিয়তির ওপর কারো হাত নেই। তবে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রাখার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করাও ফরজ। আল্লাহ তায়ালা এমন নির্দেশই দিয়েছেন। সেজন্য আমরা দেখতে পাই, ওহুদের যুদ্ধে রাসূল পাক সা: বর্ম পরিধান করেছিলেন। সে কারণেই রাষ্ট্রের উচিত তার জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা। যেসব ত্রুটির জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

 

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে টেকনাফ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

শিশুদের ঝলসানো শরীর যেন ঝলসানো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১১:২৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

||এলাহী নেওয়াজ খান ||

জুলাই গণহত্যার শোক কাটতে না কাটতে ঠিক এক বছরের মাথায় এই জুলাইতেই মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি আমাদের হৃদয় ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। পৃথিবীতে এমন কোনো ভাষা নেই, যা দিয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ লেখা যায়। যে শিশুগুলো এখনো মায়ের আঁচল ধরে ঘুমায় তারা আজ যেভাবে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে, যারা এখনো হাসপাতালের শয্যায় অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে তাদের এই কষ্টের কথা কোন ভাষায় লিখব জানি না।

একটি ফুটেজে আগুনে পুড়ে চামড়া ঝুলে পড়া অবস্থায় যে শিশুটিকে বাঁচার জন্য দৌড়াতে দেখেছি তা সহ্য করা যায় না। অতীতে এ দেশের মানুষ অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। কখনো লঞ্চডুবি, কখনো ট্রেন কিংবা সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯১৩ সালের এপ্রিলে সাভারে ধসেপড়া রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি এখনো মানুষ ভুলে যায়নি। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছিল। কিংবা ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নেপালগামী বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা এখনো সবার মনে আছে। সেই দুর্ঘটনায় ৫৫ জন নিহত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৫৫ বছরে ৪৪টি প্রশিক্ষণ বিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছে ২৫ জন পাইলটসহ শতাধিক মানুষ। কিন্তু ওই সব কিছু ছাপিয়ে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি এ দেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরকে বিষাদময় করে তুলেছে।

গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য আমাদের স্মৃতিতে এখনো জ্বলজ্বল করছে। সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল দুই শতাধিক মানুষ। ওই দৃশ্য বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে ব্যথিত করেছিল। কিন্তু ওই দুর্ঘটনার মাত্র ৩৯ দিনের মাথায় বাংলাদেশে, এই ঢাকা শহরে এমন একটি হৃদয় ভেঙে যাওয়া দুর্ঘটনা দেখতে হবে- তা কল্পনায়ও আসেনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছিল, আর বাংলাদেশ বিমানের প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হলো উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিটের মাথায়।

বুড়ো খোকারা যখন ক্ষমতার লড়াইয়ে ফেতনা-ফ্যাসিবাদে লিপ্ত, যখন একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত, যখন ঘৃণা বিদ্বেষমূলক শব্দ একে অপরের দিকে নিক্ষেপ করছে, তখন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাণপ্রিয় ছোট্ট খোকাদের ঝলসানো শরীর যেন আমাদের বিদ্রুপ করছে। মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশই ঝলসে গেছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসন, বেপরোয়া দুর্নীতি, আইনের শাসনের অভাব, চরম অব্যবস্থা ও বিচারহীনতা আমাদের সামনে এমন এক অমানবিক রাষ্ট্র দাঁড় করিয়েছে, যা কেবল বেদনাদায়ক অধ্যায় উপহার দিয়ে থাকে। এ রকম এক বাংলাদেশ আমরা কখনোই প্রত্যাশা করিনি।

ঢাকায় চলাচলকারী ছোট্ট কালো ক্যাবগুলোর কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। এগুলোর গায়ে লেখা ছিল- ‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না’। অসাধারণ একটি স্লোগান। অর্থাৎ- যেকোনো দুর্ঘটনায় যারা মারা যান তাদের পরিবার-পরিজনের কান্না সারা জীবন ধরে চলে। যাদের সন্তান কিংবা প্রিয়জন হারিয়েছে তাদের কান্না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থামবে না। আমার ছোটভাই বাহার দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার পর আমার বাবা-মাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাঁদতে দেখেছি। যখনই মনে পড়ত, আমার মা বসে বসে কাঁদতেন।

মাইলস্টোনে শহীদ হওয়া শিশুদের আগুনে ঝলসানো মুখ ও শরীর দেখে আমরা যেখানে চোখের পানি থামাতে পারছি না; সেখানে তাদের মা-বাবাদের অবস্থা কী নিদারুণ হতে পারে সহজেই বোঝা যায়।

যদিও এটি একটি দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনা মানে দুর্ঘটনাই। তবুও কোনো কোনো দুর্ঘটনা এতটাই বিয়োগান্ত হয়ে ওঠে, যা মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইলস্টোনের শিশুদের দুর্ঘটনা সে রকমই একটি। তবে সর্বশেষে যে কথাটি বলা প্রয়োজন সেটি হলো- নিয়তির ওপর কারো হাত নেই। তবে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রাখার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করাও ফরজ। আল্লাহ তায়ালা এমন নির্দেশই দিয়েছেন। সেজন্য আমরা দেখতে পাই, ওহুদের যুদ্ধে রাসূল পাক সা: বর্ম পরিধান করেছিলেন। সে কারণেই রাষ্ট্রের উচিত তার জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা। যেসব ত্রুটির জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

যদিও এটি একটি দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনা মানে দুর্ঘটনাই। তবুও কোনো কোনো দুর্ঘটনা এতটাই বিয়োগান্ত হয়ে ওঠে, যা মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইলস্টোনের শিশুদের দুর্ঘটনা সে রকমই একটি। তবে সর্বশেষে যে কথাটি বলা প্রয়োজন সেটি হলো- নিয়তির ওপর কারো হাত নেই। তবে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা রাখার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষায় সতর্কতা অবলম্বন করাও ফরজ। আল্লাহ তায়ালা এমন নির্দেশই দিয়েছেন। সেজন্য আমরা দেখতে পাই, ওহুদের যুদ্ধে রাসূল পাক সা: বর্ম পরিধান করেছিলেন। সে কারণেই রাষ্ট্রের উচিত তার জনগণকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা। যেসব ত্রুটির জন্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত