চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মেলখুম ঝিরিপথে ঘুরতে এসে উপর থেকে পড়ে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরো তিনজন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৮জুলাই) এই ঘটনা ঘটে।আজ বুধবার দুপুরে নিহত ও আহতদের মেলখুম থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী আরফান গালিব (২২) ও ইব্রাহিম হৃদয় (২২)। গালিবের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নে ও হৃদয়ের বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ী ধুনিয়ালাপাড়া এলাকায় বলে জানা গেছে।
এসময় মেলখুম ঝিরিপথে আহত পর্যটকরা হলেন- সায়েম,মিরাজ, রায়হান । তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে,গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফেনী থেকে তিন বন্ধু মিলে মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকার মেলখুম ট্রেইলে ঘুরতে আসেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় আরও দুইজন। তারা সবাই মিলে মেলখুম ট্রেইলে ঘুরতে গেলে একজন নিচে পড়ে যায় তাকে উদ্ধারে অন্যরা চেষ্টা করলে স্রোতের সাথে আরো একজন ভেসে যায়।পরে আজ বুধবার দুপুরে নিহত ও আহতদের ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
আহত সায়েম জানান, মঙ্গলবার আমরা ফেনী থেকে মেলখুম আসি তিনবন্ধু।এসময় স্থানীয় এলাকার দুইজন ও ঘুরতে আসেন।বিকেলের দিকে মেলখুমে ভারী বৃষ্টি হয়। এসময় বন্ধু হৃদয় পড়ে গেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করি আমরা এসময় আরেক বন্ধু গালিব ও পানির স্রোতে তলিয়ে যায়।পানির স্রোত বেশি হওয়ায় আমরা বাকিরা সেখান থেকে বের হতে না পেরে রাতটা সেখানে গাছের সাথে গামছা দিয়ে বেঁধে থেকে কাটায়। ভিতরে নেটওয়ার্ক না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তিতাস বলেন, সোনাপাহাড় মেলখুম ট্রেইলে পাঁচ পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে আড়াইটায় ঘটনাস্থল থেকে গালিব এবং হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করি। এছাড়া আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাজু সিংহ গণমাধ্যম’কে জানান, হাসপাতালে আহত অবস্থায় তিনজনকে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংরক্ষিত বনভূমি ও বিপদজনক ঝিরিপথ পর্যটক নিরাপত্তা না থাকায় ২০২৩ সালের মে মাসে এই স্থানে পর্যটক গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিন্নপথে হলেও পর্যটকরা এই স্থান ভ্রমণ করে।