শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

ছাত্রত্ব নেই হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়কের ।

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে রাজনীতি করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাস। ৫ আগষ্ট এর পরবর্তী সময়ে, বিগত ৬/৭ মাস ছাত্রত্ব না থাকলেও, বিনা অ্যাটাচমেন্ট এ হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই হলে অবস্থান করছেন। জানা যায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে গেস্ট হিসেবে হলের ৩০৬ নম্বর রুমে থাকছেন।

আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। দুই দলই দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করতে থাকেন।

এই সুযোগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করা ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী আবারও ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া শুরু করেন। তেমনই একজন মানুষ হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাস৷ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়,এই আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে কৃষি অনুষদের এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগ থেকে তিনি মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মাস্টার্স শেষের প্রায় ৬ বছর পর আবারও মাস্টার্সে ভর্তির চেষ্টা করেন এই নেতা ৷ কিন্তু নিয়ম না থাকায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও কিভাবে তিনি হলে অবস্থান করছেন আবার ছাত্রদলের মতো একটি দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন,”আমরা হতবাক যে, যার ছাত্রত্বই নেই সে কীভাবে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হয়! তার তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোনো বৈধতা নেই। অথচ সে হলে থাকে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলার স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, নাহলে হলে নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হলসুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মোহাম্মদ মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী জানান, সে হলে কোনো পারমিশন ছাড়াই থাকছে, তার কোনো অ্যাটাচমেন্ট নাই ডকুমেন্ট নাই।

এ বিষয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেন নি তিনি।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছাত্রত্ব নেই হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়কের ।

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৫৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে রাজনীতি করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাস। ৫ আগষ্ট এর পরবর্তী সময়ে, বিগত ৬/৭ মাস ছাত্রত্ব না থাকলেও, বিনা অ্যাটাচমেন্ট এ হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই হলে অবস্থান করছেন। জানা যায়, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে গেস্ট হিসেবে হলের ৩০৬ নম্বর রুমে থাকছেন।

আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেন। দুই দলই দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করতে থাকেন।

এই সুযোগে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করা ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী আবারও ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া শুরু করেন। তেমনই একজন মানুষ হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাস৷ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়,এই আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে কৃষি অনুষদের এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগ থেকে তিনি মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মাস্টার্স শেষের প্রায় ৬ বছর পর আবারও মাস্টার্সে ভর্তির চেষ্টা করেন এই নেতা ৷ কিন্তু নিয়ম না থাকায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিতে অস্বীকৃতি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হয়েও কিভাবে তিনি হলে অবস্থান করছেন আবার ছাত্রদলের মতো একটি দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া৷

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন,”আমরা হতবাক যে, যার ছাত্রত্বই নেই সে কীভাবে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হয়! তার তো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোনো বৈধতা নেই। অথচ সে হলে থাকে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলার স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, নাহলে হলে নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হলসুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মোহাম্মদ মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী জানান, সে হলে কোনো পারমিশন ছাড়াই থাকছে, তার কোনো অ্যাটাচমেন্ট নাই ডকুমেন্ট নাই।

এ বিষয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেন নি তিনি।