ইমাম বিমান রিপোর্ট : ঝালকাঠিতে শশুরবাড়ী বাড়ী বেড়াতে এসে স্থানীয় ছিনতাইকারীরা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। গত কয়েকদিন আগে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের রঘুনাথপুর গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে রবিউল শেখ ঝালকাঠি সদর উপজেলাধীন বিনয়কাঠি ইউনিয়নের উত্তর মানপাশা গ্রামে শশুর বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। মিষ্টি কেনার ফাঁদে ফেলে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয় রবিউল শেখ জানান, দাদা শশুর অসুস্থ হওয়ায় তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য গত ২০ জুলাই শশুর বাড়ীর পাশের বাড়ীর শফিকুলকে সাথে শফিকুলের পরিচিত মটর সাইকেল চালক জসীমের মটর সাইকেল যোগে মিষ্টি কিনতে বিনয়কাঠি বাজারে যান। বিনয়কাঠি বাজারে মিষ্টি না পেলে শফিকুল রবিউলকে নিয়ে কড়াপুর ইউনিয়নের বৌসেরহাট বাজারে মিষ্টি কিনতে যান। যাওয়ার পথে পপুলার-বৌসেরহাট সড়কের মাঝ পথে (পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে) বিনয়কাঠির বালকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের ছেলে গোলাম রাব্বি মটর সাইকেল থামাতে বলে।
তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চালক জসিম রাব্বিকে দেখে মটর সাইকেল থামিয়ে দেয়। পরে রবিউলকে মটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে একই মাদক (ইয়াবা) দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার কথা বলে ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা ৩০০০/= টাকা ও তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একই সাথে এ বিষয় কাউকে কিছু বললে রবিউলকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রাব্বি। সেখান থেকে ফিরে এসে বিষয়টি রবিউল তার শশুর বাড়ীর লোকজনের কাছে বললে লোকজন শফিকুলের মায়ের কাছে গেলে শফিকুলের মা রবিউলকে দুই হাজার টাকা ফেরৎ দেয়।
মোবাইল ফোন ফেরৎ চাইলে তারা দিতে পারবে না জানালে শফিকুলের স্ত্রী আজ বিনয়কাঠি ইউনিয়ন যুবদল এক নেতার কাছে জানালে তিনি ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলকে সাথে নিয়ে রাব্বিকে ধরে জিজ্ঞাসা করলে রাব্বি বিষয়টি অকপটে শিকার করে। পরে রাব্বিকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হলে পুলিশ রাব্বিকে নিয়ে শফিকুলের বাড়ী গিয়ে শফিকুল আটক করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয় স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রাব্বি ও শফিকুল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় ছাত্রলীগের ব্যানারে রাব্বি মাদক ব্যবসা সহ একজন মাদকসেবি ছিলো। তাকে কয়েকবার পুলিশ ধাওয়া করেছিলো। ছাত্রলীগ দল করায় তাকে এলাকায় কেউ কিছু বলতে সাহস পেতো না।