বৃহস্পতিবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান Logo নোবিপ্রবিতে সীরাত মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলো রেজুয়ারা চকরিয়ায় রেললাইন পার হবার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন বগির ধাক্কার বৃদ্ধা নারী নিহত Logo ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে : ইসি সানাউল্লাহ Logo চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের সাথে চলছে এক প্রকার প্রতারণা। আসল কোম্পানির মোড়কের মধ্যে নকল ভুট্টা বীজ ঢুকিয়ে বিক্রি

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৮৩৭ বার পড়া হয়েছে

জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মোট ৪৫ হাজার ৬শ’টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হবে। এর মধ্যে আজ ১৮ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস এবং ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের প্রতিটি চারার জন্য ৪ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এদিন মোট ১৮ হাজার ৬শ’ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের প্রতিটি চারার জন্য ৪ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম খান-সহ বিভিন্ন নার্সারী মালিক ও কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে ভবিষ্যতে তারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি জাতীয় গাছের চারা বিক্রি থেকে বিরত থাকবেন।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ফরহাদ হোসেন বলেন, বুধবার প্রাথমিকভাবে ১৮ হাজার ৬শ’ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি চারাগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধ্বংস করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের সরকারি কৃষি প্রণোদনার আওতায় টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ নিজ উদ্যোগে এসব চারা ধ্বংস না করেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের জন্য হুমকি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা রোপণে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিস উপজেলার ২৭ টি নার্সারী থেকে প্রাপ্ত একলাখ ২৭ হাজার চারা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠান। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রতি চারা ৪ টাকা হারে প্রণোদনার মাধ্যমে ৪৫ হাজার চারা নিধনের অনুমতি প্রদান করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মোট ৪৫ হাজার ৬শ’টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হবে। এর মধ্যে আজ ১৮ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস এবং ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের প্রতিটি চারার জন্য ৪ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ২ টায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এদিন মোট ১৮ হাজার ৬শ’ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের প্রতিটি চারার জন্য ৪ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম খান-সহ বিভিন্ন নার্সারী মালিক ও কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে ভবিষ্যতে তারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি জাতীয় গাছের চারা বিক্রি থেকে বিরত থাকবেন।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.ফরহাদ হোসেন বলেন, বুধবার প্রাথমিকভাবে ১৮ হাজার ৬শ’ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি চারাগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধ্বংস করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ নার্সারী মালিকদের সরকারি কৃষি প্রণোদনার আওতায় টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ নিজ উদ্যোগে এসব চারা ধ্বংস না করেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পরিবেশের জন্য হুমকি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা রোপণে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিস উপজেলার ২৭ টি নার্সারী থেকে প্রাপ্ত একলাখ ২৭ হাজার চারা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠান। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রতি চারা ৪ টাকা হারে প্রণোদনার মাধ্যমে ৪৫ হাজার চারা নিধনের অনুমতি প্রদান করেন।