ঘোষিত পাল্টা শুল্কের হার কমানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করতে চায় সরকার। বাংলাদেশ এ আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন একটি দল এ বিষয়ে ৯ থেকে ১১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে গতকাল রোববার দেশে ফিরেছে।
এ উপলক্ষেই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, অ্যাপেক্স ফুটওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, র্যাপিডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের আলোচনা হবে। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশ তার সক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে এবং যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে।ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা অনেক প্রশ্নের জবাব দেননি। না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (গোপনীয়তার চুক্তি) রয়েছে। এর ফলে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।
তার আগে ব্রিফিংয়ে সূচনা বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য বড় ধরনের অভিঘাত বলে আমরা গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছি। কিছু কাজ করা হয়েছে, আরও কিছু করতে হবে। তার অংশ হিসেবেই আজ আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। তাদের মতামত নিলাম।’গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৬০ দেশের ওপর বিভিন্ন হারে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা করে; ৭ এপ্রিল তিন মাসের জন্য তা স্থগিতও করে, যার মেয়াদ ছিল ৯ জুলাই পর্যন্ত।
গত ৮ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য জানিয়েছে দিয়েছেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তারা ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।