শিরোনাম :
Logo আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য Logo বিশ্বের বড় কমেডি উৎসব সৌদি আরবে Logo রাবিতে ভর্তিতে জালিয়াতির অভিযোগে ১ শিক্ষার্থী আটক Logo মতলবে হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থী মানসুর আহমদ সাকী’র পক্ষে লিফলেট বিতরণ Logo ব্যান্ডশিল্পী রাতুল মারা গেছেন Logo গাজায় বোমা হামলা ও অনাহারে আরও ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু Logo যবিপ্রবিতে শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা যাত্রায় শুভেচ্ছা ও প্রত্যাবর্তনে সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ১০ বছরের বেশি নয়, একমত সব দল Logo থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প Logo চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কর্মসূচি শুরু জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ, পুরো পৌর এলাকায় চলবে স্প্রে কার্যক্রম

আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ মনে প্রাণে দেশকে ভালবাসেন। এর প্রমাণ আমরা জুলাই আন্দোলনে পেয়েছি। দেশে যখন বৈষম্যের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখনই এদেশের ছাত্রসমাজ একাত্তরের মতো চব্বিশেও জ্বলে ওঠে। তাদের নেতৃত্বে দেশের মানুষ ফিরে পায় স্বাধীনতার স্বাদ। ফলে সবাই বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন।

আজ ২৭ জুলাই (রবিবার) বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসনের জুলাই উদযাপন প্রোগ্রাম কমিটি আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ শীর্ষক আন্তঃবিদ্যালয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের কণ্ঠে যদি গণতন্ত্রের দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে, তবে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রে রূপ নিতে পারবে। তাদের নেতৃত্বেই গঠিত হবে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আগামীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবেন, তাদের জন্য এটি একটি সংকেত, দেশের প্রয়োজনে তরুণরা কি কি করতে পারে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের ডা. হুমায়রা মুসলিমা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, খুলনা মেডিকেল কলেজের ডা. শহিদুজ্জামান বাবলু ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আয়মান আহাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা।

উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ বিষয়ে আয়োজিত খুলনার ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং তরুণদের ভূমিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে সেন্ট জোসেফস স্কুল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা জিলা স্কুল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল এন্ড কলেজ। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীসহ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য

আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের নেতৃত্বেই প্রয়োজন : খুবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:১৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ মনে প্রাণে দেশকে ভালবাসেন। এর প্রমাণ আমরা জুলাই আন্দোলনে পেয়েছি। দেশে যখন বৈষম্যের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখনই এদেশের ছাত্রসমাজ একাত্তরের মতো চব্বিশেও জ্বলে ওঠে। তাদের নেতৃত্বে দেশের মানুষ ফিরে পায় স্বাধীনতার স্বাদ। ফলে সবাই বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়ে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন।

আজ ২৭ জুলাই (রবিবার) বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খুলনা জেলা প্রশাসনের জুলাই উদযাপন প্রোগ্রাম কমিটি আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ শীর্ষক আন্তঃবিদ্যালয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের কণ্ঠে যদি গণতন্ত্রের দাবি জোরালোভাবে উঠে আসে, তবে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রে রূপ নিতে পারবে। তাদের নেতৃত্বেই গঠিত হবে আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আগামীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবেন, তাদের জন্য এটি একটি সংকেত, দেশের প্রয়োজনে তরুণরা কি কি করতে পারে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার ও খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজের ডা. হুমায়রা মুসলিমা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, খুলনা মেডিকেল কলেজের ডা. শহিদুজ্জামান বাবলু ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আয়মান আহাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা।

উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই বিপ্লবের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের গর্জন’ বিষয়ে আয়োজিত খুলনার ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং তরুণদের ভূমিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে সেন্ট জোসেফস স্কুল, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা জিলা স্কুল এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে নেভি অ্যাঙ্করেজ স্কুল এন্ড কলেজ। বক্তৃতা প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীসহ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।