খুলনা -সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে ইট-বালুর রমরমা ব্যবসা চলছে। এতে জনভোগান্তির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টদের নীরবতায় জনমনের ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সরজমিন দেখা যায়, খুলনা -সাতক্ষীরা পাকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়েকর রস্তার উপর দুই পাশে বালুর ব্যবসা পেতে বসেছেন একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তারা মহাসড়কের উপর বালু – ইটের খোয়া ব্যবসা করার কারণে এবং এগুলো লোড-আনলোড করতে গিয়ে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
যার ফলে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। সাধারণ মানুষের দাবি, একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে নির্বিঘ্নে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও হাইওয়ে পুলিশ কিংবা থানা পুলিশের এই অবৈধভাবে ইট-বালুর ব্যবসা কি তাদের চোখে পড়ে না?
সড়কের পাশ্ববর্তী জায়গা দখলে নিয়ে চলছে ইট বালুর রমরমা ব্যবসা। দিনের পর দিন সড়কের উপর মালামাল, ইট ভাঙার মেশিন, ইটের গাড়ি রেখে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটিয়ে চলছে এসব ইট বালুর ব্যবসায়ীরা। সড়ক ও সড়কের ফুটপাত দখলে নেওয়ার কোন বৈধতা না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই নির্ভিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দখলদাররা
খর্নিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. ফজলুল করিম বলেন, রাস্তায় অবৈধভাবে বালু ও ইটের ব্যবসায়ীদেরকে অনেকবার বলা হয়েছে রাস্তা থেকে ইট-বালু সরিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিলে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাতক্ষীরা নির্ভয় প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার পারভেজ কাছে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কে পাটকেলঘাটা বিভিন্ন জায়গায় যেমন পাটকেলঘাটা বলফিল্ড কুমিরা বাজার মির্জাপুর বাজার বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ও জনপদের জায়গা কাঠের গুড়ি ইট বালি রেখে অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবহার করছে। তিনি আরো বলেন জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ বিষয়ে আমি কথা বলছি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য। তিনি আরো বলেন উপজেলা প্রশাসনকে জানালে বিষয়টা ভালো হয় ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করতে পারে।