শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে ইবিতে মানববন্ধন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গুম হওয়া দুই শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের সন্ধান ও ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে দুপুরে প্রশাসন ভবন সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ালি-মোকাদ্দাস ভাইয়ের খোঁজ নাই, প্রশাসনের লজ্জা নাই; আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; গুমকারীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; গুমকারীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’—এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ই আগস্টে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর এক বছর ২৫ দিন সময় অতিবাহিত হবার পরেও আমরা এই গুম হওয়া ভাইদের হদিস পাইনি। আমাদের ভাইরা কী অবস্থায় আছে, সেই খবরটি দিন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পষ্ট করে বলতে চাই — এই গুমের পেছনে তৎকালীন প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিল। অনতিবিলম্বে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করুন। শিক্ষার্থীরা দোষীদের চিহ্নিত করতে শুরু করলে, আপনাদের গদি ধরে রাখা কঠিন হবে।’
গুমের শিকার শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ’র বড় ভাই খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, সেই সময়ে যেই প্রশাসন ছিল, তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই ধরনের কাজ সম্ভব ছিল না। আমরা জানতে পেরেছিলাম, সেই সময়ের প্রশাসনের যোগসাজশেই তাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দ্রুত গুম কমিশনের রিপোর্ট শিক্ষার্থী ও জাতির সামনে প্রকাশ করুন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর, ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের হল শাহ আজিজুর রহমান হলের প্রভোস্ট, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধরুন, তাহলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আপনাদের মুখে কেন কুলুপ? আপনারা কেউ গুমের সাথে জড়িত কিনা, আমার তো সন্দেহ হয়।’
শিবির নেতা আরও বলেন, ‘সুশীল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চুন থেকে পান খসলেই উদ্বোধন করতে চায়, কিন্তু ওয়ালিউল্লাহ-মুকাদ্দাসের ব্যাপারে কোনো খোঁজ বের করতে পারে না। তাদের ব্যাপারে ভিসিকে কথা বলতে দেখি না, প্রো-ভিসি স্যার মাঝে মাঝে কথা বললেও তা পর্যাপ্ত না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার ভাইদের সন্ধান চাই। আইনের মধ্যে দিয়ে আপনারা প্রশাসনে আসেননি, শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা প্রশাসনে বসেছেন। আমরা যখন স্টেপ নেবো, তখন আপনারা পালাতে বাধ্য হবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আল-মুকাদ্দাস এবং ওয়ালীউল্লাহ গুম হন। গুমের পর তাদের কোথায় রাখা হলো? বেঁচে আছেন না মারা গেছেন? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন পরিবার ও শিক্ষার্থীরা।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে ইবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১০:০৬:৫৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গুম হওয়া দুই শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের সন্ধান ও ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে দুপুরে প্রশাসন ভবন সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ালি-মোকাদ্দাস ভাইয়ের খোঁজ নাই, প্রশাসনের লজ্জা নাই; আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না; অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; গুমকারীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; গুমকারীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’—এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ই আগস্টে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনের পর এক বছর ২৫ দিন সময় অতিবাহিত হবার পরেও আমরা এই গুম হওয়া ভাইদের হদিস পাইনি। আমাদের ভাইরা কী অবস্থায় আছে, সেই খবরটি দিন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পষ্ট করে বলতে চাই — এই গুমের পেছনে তৎকালীন প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিল। অনতিবিলম্বে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করুন। শিক্ষার্থীরা দোষীদের চিহ্নিত করতে শুরু করলে, আপনাদের গদি ধরে রাখা কঠিন হবে।’
গুমের শিকার শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ’র বড় ভাই খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, সেই সময়ে যেই প্রশাসন ছিল, তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই ধরনের কাজ সম্ভব ছিল না। আমরা জানতে পেরেছিলাম, সেই সময়ের প্রশাসনের যোগসাজশেই তাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘দ্রুত গুম কমিশনের রিপোর্ট শিক্ষার্থী ও জাতির সামনে প্রকাশ করুন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর, ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের হল শাহ আজিজুর রহমান হলের প্রভোস্ট, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধরুন, তাহলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আপনাদের মুখে কেন কুলুপ? আপনারা কেউ গুমের সাথে জড়িত কিনা, আমার তো সন্দেহ হয়।’
শিবির নেতা আরও বলেন, ‘সুশীল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চুন থেকে পান খসলেই উদ্বোধন করতে চায়, কিন্তু ওয়ালিউল্লাহ-মুকাদ্দাসের ব্যাপারে কোনো খোঁজ বের করতে পারে না। তাদের ব্যাপারে ভিসিকে কথা বলতে দেখি না, প্রো-ভিসি স্যার মাঝে মাঝে কথা বললেও তা পর্যাপ্ত না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার ভাইদের সন্ধান চাই। আইনের মধ্যে দিয়ে আপনারা প্রশাসনে আসেননি, শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা প্রশাসনে বসেছেন। আমরা যখন স্টেপ নেবো, তখন আপনারা পালাতে বাধ্য হবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আল-মুকাদ্দাস এবং ওয়ালীউল্লাহ গুম হন। গুমের পর তাদের কোথায় রাখা হলো? বেঁচে আছেন না মারা গেছেন? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন পরিবার ও শিক্ষার্থীরা।