শিহাব উদ্দিন সরকার, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
রিটেক পদ্ধতি, বর্ষ উন্নয়ন ও পরীক্ষার ফলাফল সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(যবিপ্রবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমস্যাগুলোর সমাধানে শিক্ষার্থীদের সাথে বসলেও সমাধান না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান না পেলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারিও দিয়েছে তাঁরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্স অনুযায়ী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো কোর্সের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় তবে সে একবারই রিটেক পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী এই রিটেক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তবে তাকে প্রতি কোর্সের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে স্পেশাল রিটেক দিতে হবে। স্পেশাল রিটেকে অকৃতকার্য হলে বর্ষ উন্নয়নের সুযোগ পাবেনা ঐ শিক্ষার্থী। যেখানে অন্যান্য ব্যাচগুলো ৩ থেকে ৪ বার রিটেক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া পরবর্তী ব্যাচগুলোর সাথেও ২২-২৩ সেশনের নম্বর বন্টনে কোনো মিল নেই এবং রিটেক এক্সামের রেজাল্টে জিপিএ কর্তনের সিস্টেমও অন্য ব্যাচগুলোর তুলনায় ভিন্ন। ফলে কেউ কোনো কারণে পরিক্ষায় অনুপস্থিত হলে, তার একাডেমিক রেজাল্ট ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবির মধ্যে ছিলো- অবিলম্বে রিটেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, শিক্ষার্থীদের বর্ষ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সেশনজট তৈরি হচ্ছে তার স্পষ্ট ও কার্যকর নীতিমালা প্রকাশ করতে হবে এবং অযৌক্তিক বিলম্ব ও প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মাশফি চৌধুরী অরিন বলেন, আমরা গভীর দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে জানাচ্ছি যে, ২২-২৩ সেশনের রিটেক পরীক্ষার সমস্যার সমাধানে প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে আমাদের মূল্যবান সময়, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি, কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে অন্য সমস্যার সমাধান হলেও কেন এ সমস্যা সমাধান হচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আর কোনো গড়িমসি মেনে নেওয়া হবে না। দ্রুত সমাধান না হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমাদের সমস্যা কি প্রশাসনের কাছে এত-ই তুচ্ছ? প্রশাসনের উপর আস্থা রাখাটা কি আমাদের ভুল ছিল? আন্দোলন কিংবা মানবন্ধন না করে প্রশাসনের সাথে সুষ্ঠু আলোচনা কি আমাদের ভুল ছিল?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা হয়েছিল। তাদেরকে বলেছি ২২-২৩ সেশনের রিটেক সমস্যা যাদের আছে এ বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ডিন ও একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপনের জন্য। একাডেমিক