শিরোনাম :
Logo ‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ Logo আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণ নীতিমালা জারি Logo বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: সেলিম উদ্দিন Logo কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি শিবিরের Logo আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই প্রথম সংস্কার, বললেন ববি হাজ্জাজ Logo নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য কয়টি সন্তান ভালো, যা বলছেন গবেষকরা Logo সানস্ক্রিন নাকি ময়েশ্চারাইজার, প্রথমে কোনটি মাখা উচিত Logo শত শত নারীকে স্বাবলম্বী করেছেন চাঁদপুরের বিজয়ী কন্যা তানিয়া ইশতিয়াক খান Logo সাড়া ফেলেছে জুলাই বিপ্লব নিয়ে রাবি শিক্ষার্থীর নির্মিত শর্টফিল্ম ‘মাদারল্যান্ড অর ডেথ ‘ Logo আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগারে বাংলা নববর্ষকে বরণ

মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশিসহ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী। এদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি।

সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।

এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।

এদিকে, এই কর্মসূচি চলাকালীনও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।

জানা গেছে, যারা এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ফিরছেন তাদের বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদেরকে অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে এসেছেন।

জাকারিয়া আরও বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ

মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন আড়াই লাখ অবৈধ অভিবাসী

আপডেট সময় : ১১:৪০:০৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশিসহ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন অবৈধ অভিবাসী। এদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী রয়েছেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা জানা যায়নি।

সোমবার (১০ মার্চ) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় নিজ দেশে ফিরতে ১১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী নাম নিবন্ধন করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে সক্রিয় বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ২৩ লাখ।

এর আগে, দেশটির সরকার অবৈধ প্রবেশ এবং বৈধ অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত সময় অবস্থানের অপরাধে ৫০০ রিঙ্গিত এবং পাস শর্ত লঙ্ঘনের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেয়।

এদিকে, এই কর্মসূচি চলাকালীনও মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ কাজের ভিসা নেই, এমন বিদেশিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ।

এই অভিযানের ফলে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।

জানা গেছে, যারা এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ফিরছেন তাদের বেশিরভাগই কাগজপত্রবিহীন বা কর্মহীন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই সম্প্রতি কলিং ভিসায় এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদেরকে অনেক নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ফ্রি ভিসার নামে কলিং ভিসায় দেশটিতে নিয়ে এসেছেন।

জাকারিয়া আরও বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধিমালা অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।