নিউজ ডেস্ক:
নতুন বছরের প্রথম প্রহরের উৎসবকে টার্গেট করে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে- এমন আশঙ্কায় পশ্চিমা বিশ্বের বড় বড় শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
লন্ডন, বার্লিন, ব্রাসেলস ও সিডনিতে হাজার হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্যারিস, মাদ্রিদ এবং নিউ ইয়র্কের যেসব জায়গায় হাজার হাজার মানুষ বর্ষবরণ উৎসবের জন্য সমবেত হয়, সেসব জায়গায় চারদিক ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে।
নতুন বছরকে বরণ করার জন্য বিশ্বের বড় বড় নগরীতে এবারও উৎসব আয়োজনে ঘাটতি নেই।
ওপেন এয়ার কনসার্ট আর চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী দেখতে লাখ লাখ মানুষ এসব নগরীতে জড়ো হবেন।
হামলার আশঙ্কা
কিন্তু এবছর জুড়ে যেভাবে এধরণের উৎসবকে টার্গেট করে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে তাতে নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড উদ্বেগ।
বিশেষ করে বার্লিনে এবং নিস শহরে যেভাবে জনতার ওপর ট্রাক চালিয়ে দেয়া হয়েছিল, সে ধরণের হামলার আশংকা করছেন অনেকে।
তাই লন্ডন, নিউ ইয়র্ক , প্যারিস থেকে শুরু করে সব বড় শহরেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টাইমস স্কয়ার
নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার, যেখানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন, সেখানে কোনো গাড়িই ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নগরীর পুলিশ কর্মকর্তা স্কট শ্যানলি।
নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগের উপ প্রধান স্কট শ্যানলি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যা ঘটছে সেটা দেখে তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে জার্মানির বার্লিন এবং ফ্রান্সের নিস শহরে যেভাবে ট্রাক চালিয়ে হামলা করা হয়েছে, সেরকম হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
জার্মানির চ্যালেঞ্জ
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল তার নতুন বছরের ভাষণে ইসলামি উগ্রবাদকে তার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছেন।
জার্মানিতে এ বছর যে তিনটি হামলা হয়, তার প্রত্যেকটিতেই হামলাকারীরা জার্মানিতে ঢুকেছিল শরণার্থী পরিচয়ে।
কিন্তু তার পরও তিনি তার অভিবাসন নীতি থেকে সরে না দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন।