মো: সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে তিনদিন কবরে থাকার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ৭০ বছর বয়সী ‘জিন্দা বাবা’ কে জীবিত অবস্থায় কবর থেকে তুলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে জিন্দা শাহ নামের ওই কথিত পীর স্বেচ্ছায় কবরে অবস্থান নিয়েছিলো। ওই বৃদ্ধের নাম জিতু মিয়া হলেও সবাই তাঁকে ‘জিন্দাবাবা’ নামে চিনে।
জিতু মিয়া ওরপে জিন্দা বাবা এর আগেও একাধিকবার হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে কবরবাসে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।
‘জিন্দা বাবা’ দাবী করছেন, গত ৪৫ বছর ধরে তিনি ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে গিয়ে‘সাধনা’ করেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। মাহবুব রাজার কাছ থেকে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। ‘চিল্লা’ মানে তার ভাষ্যে- ‘কবরে প্রবেশ করা’ । জিন্দা বাবা বলেন, ‘এর আগে ১১ বার আমি চিল্লায় গিয়েছি। আর এটাই আমার শেষ চিল্লা।’
এর আগে জিন্দা শাহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুরের পানিতে ভেসে বেড়িয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন।
এদিকে গত শনিবার রাত ৩ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামস্থ তার নিজ বাড়ির ঘরের ভিতরে কবর কনন করে ‘জিন্দাবাবা’ স্বেচ্ছায় কবরবাসে যান। কবরবাসে যাওয়ার আগে একটি চিরকুটে লিখে রেখেছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় যেন তাকে কবর থেকে তুলা হয়। তার কথা মতো আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় কবর থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে জিন্দাবাবার কবর চিল্লা আজগবি খবরে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা জিন্দা বাবাকে দেখার জন্য ভীড় জমায় তার বাড়িতে।
তবে ইসলাম ধর্মে এসব কবর চিল্লার নামে কোন কিছ নেই এবং এসব ইসলামের নামে তামাশা বলেও মন্তব্য করছেন নবীগঞ্জ ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান শায়খ মাওলানা আব্দুর রকীব হক্কানি।