শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।