শিরোনাম :
Logo রাবি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বাচিঁয়ে রাখলেন ছাত্রদল নেতা রাবিত Logo কয়রা ৬ সাংবাদিকের নামে এক যুগ আগের ঘটনায় হত্যা মামলা Logo চকবাজারে খালে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ চাক্তাই খালে উদ্ধার Logo আ.লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুখবর Logo জীবননগরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ নারী আটক Logo রাবি ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদ ও জেন-জি নিয়ে প্রশ্ন Logo শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন Logo রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসন প্রতি লড়ছেন ৫১ ভর্তিচ্ছু Logo রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বাচিঁয়ে রাখলেন ছাত্রদল নেতা রাবিত

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।