পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো ৭ ভাষা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

একটা সময় ছিল যখন মানুষের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের জন্যে কোন ভাষা ছিল না। তারা নানা রকম ইশারায় একে অপের সঙ্গে আলাপ চালাতেন।

কাজও চলত এমন ভাবেই। এখন আমরা যে ভাষা ব্যবহার করি সেই সবের উৎপত্তি প্রায় ১০ হাজার বছর আগে শাস্ত্রের মাধ্যমে।

প্রথম ভাষা কী ছিল তা নিয়ে তর্কের কোন শেষ নেই। তবুও ভাষাবীদরা বহু ভাষার উপরে গবেষণা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে একটি ভাষা কত পুরনো তা নির্ধারণ করার উপায় রয়েছে। সেই ভাষাটি প্রথম কোন পাঠ্যে পাওয়া গেছে এবং তার সমসাময়িক ব্যবহার দেখলেই তার উৎপত্তির সময় বোঝা সম্ভব হয়। তেমনই ৭টি প্রাচীন ভাষা আজও সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরবি: ৫১২ সিই
বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৯ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় ৫১২ সিই-তে। মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ যেমন ইউএই, সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইজরায়েল, ইজিপ্ট, জর্ডান, কুয়েত এবং ওমানের সরকারি ভাষাই হল আরবি।

সংস্কৃত: ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
ভারতের এই প্রাচীনতম ভাষার উৎপত্তি প্রায় ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। সংখ্যায় যদিও কম, তবু এখনও বেশ কিছু মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। সংস্কৃতের প্রভাব পশ্চিমি বহু ভাষার উপরেও রয়েছে। কম্পিউটারের প্রাথমিক ভাষা সংস্কৃতের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে।

গ্রিক: ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
একটা সময় ছিল যখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং শিক্ষাবীদরা গ্রিক ভাষাতেই ভাবতেন, কথা বলতেন এবং লিখতেন। বর্তমানে গ্রিস এবং সাইপ্রাস নিবাসী প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই ভাষাতেই কথা বলেন, লেখেন। এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম সরকারি ভাষাও বটে।

চীনা ভাষা: ১২৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের শেখা প্রথম ভাষাই হল চীনা। পৃথিবীর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ চিনা ভাষাকেই তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে বিবেচনা করেন। শাং সাম্রাজ্যের শেষের দিকে প্রায় ১২৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এই ভাষার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সমসাময়িক ব্যবহারের নিরিখে তামিলের পাশাপাশি চীনা ভাষাকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ভাষা হিসেবে ধরা হয়।

হিব্রু: ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
অনেকেই বিশ্বাস করেন গত ৫ হাজার বছর ধরে হিব্রু ভাষার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দেই এর উপস্থিতির নিদর্শন পাওয়া যায়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন।

তামিল: ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এর ইতিহাসের হদিশ পাওয়া গেলেও বিশ্বাস করা হয় এর উৎপত্তি ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ তামিল ভাষায় কথা বলেন। এই সমসাময়িক ব্যবহারের জন্যেই তামিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

লাতিন: ৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আজও এই ঐতিহ্যবাহী ভাষাটি তার অস্তিত্ব বজার রেখেছে। সংস্কৃতের তোই লাতিন ভাষাও অন্যান্য ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। রোমান সাম্রাজ্যে এর উপস্থিতির কথা জানা যায়। এখনও পোল্যান্ড এবং ভ্যাটিকান সিটিতে সরকারি ভাষা লাতিন এবং বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ এই ভাষা শেখেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো ৭ ভাষা !

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

একটা সময় ছিল যখন মানুষের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের জন্যে কোন ভাষা ছিল না। তারা নানা রকম ইশারায় একে অপের সঙ্গে আলাপ চালাতেন।

কাজও চলত এমন ভাবেই। এখন আমরা যে ভাষা ব্যবহার করি সেই সবের উৎপত্তি প্রায় ১০ হাজার বছর আগে শাস্ত্রের মাধ্যমে।

প্রথম ভাষা কী ছিল তা নিয়ে তর্কের কোন শেষ নেই। তবুও ভাষাবীদরা বহু ভাষার উপরে গবেষণা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে একটি ভাষা কত পুরনো তা নির্ধারণ করার উপায় রয়েছে। সেই ভাষাটি প্রথম কোন পাঠ্যে পাওয়া গেছে এবং তার সমসাময়িক ব্যবহার দেখলেই তার উৎপত্তির সময় বোঝা সম্ভব হয়। তেমনই ৭টি প্রাচীন ভাষা আজও সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরবি: ৫১২ সিই
বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৯ কোটি মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলেন। এই ভাষার প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় ৫১২ সিই-তে। মধ্য প্রাচ্যের বহু দেশ যেমন ইউএই, সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইজরায়েল, ইজিপ্ট, জর্ডান, কুয়েত এবং ওমানের সরকারি ভাষাই হল আরবি।

সংস্কৃত: ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
ভারতের এই প্রাচীনতম ভাষার উৎপত্তি প্রায় ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। সংখ্যায় যদিও কম, তবু এখনও বেশ কিছু মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। সংস্কৃতের প্রভাব পশ্চিমি বহু ভাষার উপরেও রয়েছে। কম্পিউটারের প্রাথমিক ভাষা সংস্কৃতের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে।

গ্রিক: ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
একটা সময় ছিল যখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং শিক্ষাবীদরা গ্রিক ভাষাতেই ভাবতেন, কথা বলতেন এবং লিখতেন। বর্তমানে গ্রিস এবং সাইপ্রাস নিবাসী প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই ভাষাতেই কথা বলেন, লেখেন। এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম সরকারি ভাষাও বটে।

চীনা ভাষা: ১২৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের শেখা প্রথম ভাষাই হল চীনা। পৃথিবীর প্রায় ১২০ কোটি মানুষ চিনা ভাষাকেই তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে বিবেচনা করেন। শাং সাম্রাজ্যের শেষের দিকে প্রায় ১২৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এই ভাষার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। সমসাময়িক ব্যবহারের নিরিখে তামিলের পাশাপাশি চীনা ভাষাকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ভাষা হিসেবে ধরা হয়।

হিব্রু: ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
অনেকেই বিশ্বাস করেন গত ৫ হাজার বছর ধরে হিব্রু ভাষার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দেই এর উপস্থিতির নিদর্শন পাওয়া যায়। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৯০ লাখ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন।

তামিল: ৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
৩০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এর ইতিহাসের হদিশ পাওয়া গেলেও বিশ্বাস করা হয় এর উৎপত্তি ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ তামিল ভাষায় কথা বলেন। এই সমসাময়িক ব্যবহারের জন্যেই তামিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

লাতিন: ৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আজও এই ঐতিহ্যবাহী ভাষাটি তার অস্তিত্ব বজার রেখেছে। সংস্কৃতের তোই লাতিন ভাষাও অন্যান্য ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। রোমান সাম্রাজ্যে এর উপস্থিতির কথা জানা যায়। এখনও পোল্যান্ড এবং ভ্যাটিকান সিটিতে সরকারি ভাষা লাতিন এবং বিশ্বের কয়েক লাখ মানুষ এই ভাষা শেখেন।