নীলকন্ঠ ডেস্ক: 
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণাদায়ী লেখক, শিক্ষক ও সমাজকর্মী তৌফিক সুলতান স্যার নিয়ে আসছেন তাঁর নতুন গ্রন্থ “Master’s of Book – মাস্টার্স অব বুকস”। বইটি প্রকাশ করছে সাগরিকা প্রকাশনী। প্রকাশনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বইটি আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হবে। এটি প্রি-অর্ডার সংস্করণ হিসেবে পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে প্রকাশের তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
বইটি মূলত Admission, Recruitment & Preparation Exams: Miscellaneous ঘরানার। এতে পরীক্ষার প্রস্তুতি, আত্মউন্নয়ন, জ্ঞানচর্চা, নৈতিকতা ও জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সহজ ও বাস্তবধর্মী ভাষায়। গ্রন্থটি দ্বিভাষিক—বাংলা ও ইংরেজি—এবং এতে মোট ৮০ পৃষ্ঠা রয়েছে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে পাঠক জ্ঞান, চিন্তা ও আত্মোন্নয়নের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। লেখকের ভাষায়, “এই বই শুধু পরীক্ষার প্রস্তুতির বই নয়, এটি চিন্তা ও জ্ঞানের এক নতুন যাত্রাপথ।”
তৌফিক সুলতান ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল করিম ও মাতা ফাতেমা বেগম। ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্য, জ্ঞানচর্চা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে আগ্রহী ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন “ওয়েল্ফশন মানবকল্যাণ সংঘ” এবং ২০২২ সালে গড়ে তোলেন “ওয়েল্ফশন সত্য অনুসন্ধানী জ্ঞান অনুরাগী কল্যাণকামী দলের উন্মুক্ত লাইব্রেরি”।
বর্তমানে তিনি ব্রেভ জুবিল্যান্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজের প্রভাষক, ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ওয়েল্ফশন মানবকল্যাণ সংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তৌফিক সুলতানের লেখালেখি ইতোমধ্যে স্থান পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলিতে—দৈনিক কালবেলা, ইত্তেফাক, সমকাল, কালেরকণ্ঠ, নয়াদিগন্ত ও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। এছাড়া সময় টিভি, বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও তাঁর চিন্তাধারা ও বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। তাঁর লেখায় প্রতিফলিত হয় ইসলামী নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ, জ্ঞানের গভীরতা ও আত্মমর্যাদাবোধ। তিনি বিশ্বাস করেন—“একটি কলম পারে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলতে, একটি চিন্তা পারে একটি প্রজন্মকে আলোকিত করতে।”
প্রকাশক জানান, “Master’s of Book – মাস্টার্স অব বুকস বইটি তৌফিক সুলতান স্যারের অসাধারণ চিন্তাধারা ও লেখনীর প্রতিফলন। বইটি পাঠককে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে এবং বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের জন্য এটি হবে এক অনুপ্রেরণার উৎস
