মিল্ক ব্যাংকের কারণে কমছে শিশুমৃত্যু হার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

৩৬ বছর বয়সে দুবার গর্ভপাত হয়েছে শিল্পার। গত জুলাই মাসে এক ছেলের জন্ম দেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। শারিরীক ত্রুটি থাকার কারণে সে তার ছেলেকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়াতে পারতেন না ঠিক করে। ডাক্তারের পরামর্শে এবং নিজের ইচ্ছেতেই এরপর ব্রেস্ট মিল্ক ডোনেট করা শুরু করেন তিনি।

তবে, শিল্পা শুধু একা নন। বিশ্বে আরও এমনই অনেক মা আছেন। যারা নিজেরা নিজেদের শিশুকে শারিরীক ত্রুটির কারণে নিজের শিশুকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়াতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ হিউম্যান মিল্ক ব্যাঙ্কিং। দেশে এই ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ৪৭টি। এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে ১৪হাজার ৩৮৮জন মা তাদের নিজের ব্রেস্ট মিল্ক ডোনেট করে। আর সেই ব্যাংকের দুধে ১৩হাজার শিশু প্রাণে বেঁচে গেছে।

একইসঙ্গে সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরো একটি তথ্য। গত ছয় মাসে এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে স্বেচ্ছায় মায়েরা এগিয়ে এসেছেন আরো পাঁচটি শিশুর জীবন বাঁচাতে। ২০১৪সালে এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ ছিল ২৬৭লিটার। কিন্তু ২০১৬সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৮লিটারে। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই সংগ্রহ হয়েছে ১৭৪লিটার দুধ। এমনটাই জানাচ্ছেন বি জে মেডিকেল কলেজের পেডিট্রিসিয়ানের প্রধান আরতি কিনিকার।

এশিয়ার সর্বপ্রথম হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক মুম্বাইয়ে অবস্থিত। হাসপাতালটির নাম লোকমান্য তিলক মিউনিসিপাল জেনারেল হাসপাতাল। ভারতের পুনেতে এই ধরনের ব্যাংক স্থাপিত হয় ২০১১সালে। হাসপাতালটির নাম দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল। ডি ওয়াই পাটিল মিল্ক ব্যাংকের কর্নধার জানিয়েছেন, এই ব্রেস্ট মিল্ক বহু শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে। প্রিম্যাচুয়ার বেবি, গ্রোথের সমস্যা ছাড়াও আরো একাধিক সমস্যা সমাধান করছে ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাংকগুলি। এরফলে দেশজুড়ে কমেছে শিশুমৃত্যু হার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মিল্ক ব্যাংকের কারণে কমছে শিশুমৃত্যু হার !

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

৩৬ বছর বয়সে দুবার গর্ভপাত হয়েছে শিল্পার। গত জুলাই মাসে এক ছেলের জন্ম দেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। শারিরীক ত্রুটি থাকার কারণে সে তার ছেলেকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়াতে পারতেন না ঠিক করে। ডাক্তারের পরামর্শে এবং নিজের ইচ্ছেতেই এরপর ব্রেস্ট মিল্ক ডোনেট করা শুরু করেন তিনি।

তবে, শিল্পা শুধু একা নন। বিশ্বে আরও এমনই অনেক মা আছেন। যারা নিজেরা নিজেদের শিশুকে শারিরীক ত্রুটির কারণে নিজের শিশুকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়াতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ হিউম্যান মিল্ক ব্যাঙ্কিং। দেশে এই ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ৪৭টি। এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে ১৪হাজার ৩৮৮জন মা তাদের নিজের ব্রেস্ট মিল্ক ডোনেট করে। আর সেই ব্যাংকের দুধে ১৩হাজার শিশু প্রাণে বেঁচে গেছে।

একইসঙ্গে সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরো একটি তথ্য। গত ছয় মাসে এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে স্বেচ্ছায় মায়েরা এগিয়ে এসেছেন আরো পাঁচটি শিশুর জীবন বাঁচাতে। ২০১৪সালে এই সমস্ত ব্যাংকগুলিতে ব্রেস্ট মিল্কের পরিমাণ ছিল ২৬৭লিটার। কিন্তু ২০১৬সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৮লিটারে। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই সংগ্রহ হয়েছে ১৭৪লিটার দুধ। এমনটাই জানাচ্ছেন বি জে মেডিকেল কলেজের পেডিট্রিসিয়ানের প্রধান আরতি কিনিকার।

এশিয়ার সর্বপ্রথম হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক মুম্বাইয়ে অবস্থিত। হাসপাতালটির নাম লোকমান্য তিলক মিউনিসিপাল জেনারেল হাসপাতাল। ভারতের পুনেতে এই ধরনের ব্যাংক স্থাপিত হয় ২০১১সালে। হাসপাতালটির নাম দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল। ডি ওয়াই পাটিল মিল্ক ব্যাংকের কর্নধার জানিয়েছেন, এই ব্রেস্ট মিল্ক বহু শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে। প্রিম্যাচুয়ার বেবি, গ্রোথের সমস্যা ছাড়াও আরো একাধিক সমস্যা সমাধান করছে ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাংকগুলি। এরফলে দেশজুড়ে কমেছে শিশুমৃত্যু হার।