শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

খুবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’ বিষয়ক  জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

শিক্ষা ও শিল্পখাতের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ছাড়া ভবিষ্যৎ গড়ার পথ সুগম নয় এই উপলব্ধি থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সেমিনার ‘এমপাওয়ারিং দ্য ফিউচার উইথ ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’।

সেমিনারটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুল, সহযোগিতায় ছিল খুলনা ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব এবং এইচআরএম সোসাইটি।

অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান,
“আমরা প্রত্যেক ডিসিপ্লিনকে অন্তত একটি ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার আয়োজনের জন্য উৎসাহিত করেছি এবং সে অনুযায়ী ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থাও রেখেছি। বিজনেস স্কুল তার বাস্তব উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে প্রথম বিবিএ প্রোগ্রাম চালু হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও তা বাস্তবায়িত হয়। এখন সময় এসেছে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে গভীর রিসার্চ ও কোলাবোরেটিভ কাজ বাড়ানোর।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশিদ খান, প্রোভিসি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নুর আলম।

সেমিনারে আমন্ত্রিত তিনজন শিল্পখাতের প্রতিনিধি বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার, মেটলাইফ বাংলাদেশ
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো এক মহাসাগরের মতো এখানে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ থাকে। শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, জীবনের নানা বাস্তব দিকও শেখা জরুরি।”
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রোডাক্টিভ স্টুডেন্ট লাইফ গড়তে উৎসাহিত করেন এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানে স্কিল ডেভেলপমেন্টের পরামর্শ দেন।

দেওয়ান আতিফ রশিদ
ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডিটিসি লিমিটেড; ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, “এই পর্যায়ে আসতে হলে শুধু ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন লক্ষ্য, ধৈর্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতা।”
তিনি বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি খাতের বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, স্কিলড জনশক্তির ঘাটতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীদের তিনি ইন্ডাস্ট্রি-রেডি হওয়ার আহ্বান জানান।

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম দুলু
সিইও, মার্কটেল বাংলাদেশ; সেক্রেটারি জেনারেল, মার্কেটারস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এমআইবি)
তিনি বলেন,
“আমি শুরু থেকেই মার্কেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের আগে বুঝতে হবে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার সংযোগটা কী এবং সেটি কেমনভাবে কাজ করে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শেখায় কীভাবে শিখতে হয় এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

সেমিনারে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ পেয়ে দারুণ অনুপ্রাণিত হন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

খুবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’ বিষয়ক  জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

শিক্ষা ও শিল্পখাতের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ছাড়া ভবিষ্যৎ গড়ার পথ সুগম নয় এই উপলব্ধি থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সেমিনার ‘এমপাওয়ারিং দ্য ফিউচার উইথ ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সিনার্জি’।

সেমিনারটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুল, সহযোগিতায় ছিল খুলনা ইউনিভার্সিটি বিজনেস ক্লাব এবং এইচআরএম সোসাইটি।

অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার), সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান,
“আমরা প্রত্যেক ডিসিপ্লিনকে অন্তত একটি ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার আয়োজনের জন্য উৎসাহিত করেছি এবং সে অনুযায়ী ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থাও রেখেছি। বিজনেস স্কুল তার বাস্তব উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে প্রথম বিবিএ প্রোগ্রাম চালু হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও তা বাস্তবায়িত হয়। এখন সময় এসেছে শিক্ষা ও শিল্পের মধ্যে গভীর রিসার্চ ও কোলাবোরেটিভ কাজ বাড়ানোর।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশিদ খান, প্রোভিসি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নুর আলম।

সেমিনারে আমন্ত্রিত তিনজন শিল্পখাতের প্রতিনিধি বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ কর্পোরেট বিজনেস অফিসার, মেটলাইফ বাংলাদেশ
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো এক মহাসাগরের মতো এখানে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ থাকে। শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, জীবনের নানা বাস্তব দিকও শেখা জরুরি।”
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রোডাক্টিভ স্টুডেন্ট লাইফ গড়তে উৎসাহিত করেন এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানে স্কিল ডেভেলপমেন্টের পরামর্শ দেন।

দেওয়ান আতিফ রশিদ
ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডিটিসি লিমিটেড; ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেন, “এই পর্যায়ে আসতে হলে শুধু ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন লক্ষ্য, ধৈর্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতা।”
তিনি বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি খাতের বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, স্কিলড জনশক্তির ঘাটতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীদের তিনি ইন্ডাস্ট্রি-রেডি হওয়ার আহ্বান জানান।

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম দুলু
সিইও, মার্কটেল বাংলাদেশ; সেক্রেটারি জেনারেল, মার্কেটারস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এমআইবি)
তিনি বলেন,
“আমি শুরু থেকেই মার্কেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের আগে বুঝতে হবে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার সংযোগটা কী এবং সেটি কেমনভাবে কাজ করে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শেখায় কীভাবে শিখতে হয় এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

সেমিনারে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ পেয়ে দারুণ অনুপ্রাণিত হন।