জুলাই বিপ্লবের পরেও হাবিপ্রবিতে কোটায়  আসন বহাল রেখে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। 

0
23
 আবজাল হোসেন  তোফায়েল
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫ সেশনে স্নাতকে মূল আসনের অতিরিক্ত আসন হিসেবে কোটায় ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ১% আসন বরাদ্দ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আরো বলা হয়েছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ২ জন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানের (পোষ্য কোটা) জন্য ১%, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক শুধুমাত্র বিকেএসপি থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে ৫ টি আসন এবং বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মোট ৮০ টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।
কোটায় ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স  অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন যে, কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে  পড়ার যোগ্যতা নেই। একজন মেধাবীকে পিছনে ফেলে  এখানে বৈষম্য স্বীকার করা হচ্ছে, যা জুলাই বিপ্লবকে অপমান করার সমান. শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা উচিত। রেজিস্ট্রার অফিসে কোটায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে গেলে উনারা জানান কোটায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না সর্বোচ্চ শতকরা ২বা ৩ ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এখন প্রশ্নের জায়গা, যদি কোটায় ভর্তি শিক্ষার্থী পাওয়া নাই যায় তাহলে সেটা রাখার প্রয়োজন কি।এই আসনে অন্য  সাধারণ  শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়াই বেশি কার্যকর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ মজুমদার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করে কোটা পুনর্বহাল রাখা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া আসন সংখ্যা বাড়ানোও একটা বড়ো সমস্যা হলো, যেখানে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের চাপ ই প্রশাসন নিতে পারছে না, শিক্ষক সংকট,  বাসে অতিরিক্ত ভীড় তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি কাম্য নয়।
এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘কোটার ক্ষেত্রে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সুবিধা, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে কোটা কোনো ভাগ বসাবেনা, এটা মূল আসনের বাইরে।’
উল্লেখ্য, গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে ৪ টি ইউনিটে ৮ টি অনুষদের স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিবে হাবিপ্রবি। এবছর ২৭০ টি অতিরিক্ত আসন বাড়িয়ে নেওয়া হবে ১৭৯৫ জনকে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।