পঞ্চগড়ে চুরি করতে গিয়ে ধরা, বেরিয়ে এলো বীভৎস ধর্ষণ ও হত্যা কাহিনী

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) নামের এক যুবক। বেরিয়ে আসে ৫৫ দিন আগের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায়, চোর এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

আটোয়ারী থানার এই চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস নারী ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

তিনি জানান, শনিবার (৯ মার্চ) ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। এসময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যায়। তিনি বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো রাণীগঞ্জ এলাকার ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।

গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের পর সাজ্জাতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর পরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর, একে একে দু’স্তন , পরে গোপনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিলতিল করে চিরে, পরে রেললাইনে শুয়ে রাখে হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবিও উদ্ধার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আটোয়ারী থানার কিসমত রেলগেটের পশ্চিম পাশে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে ওই তরুণীর লাশ রেললাইনে রেখে পালিয়ে যায়।

 

গ্রেপ্তার রিফাত আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপার জানান, এখনো ওই নারীর পরিচয় মেলেনি। তবে ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লী থানার এক নারী নিখোঁজ মামলা সূত্রে স্বজনরা ক্ষতবিক্ষত লাশ নিয়ে গিয়ে দাফন করে। ভুক্তভোগীর কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোনে হত্যার ঘটনা ভিডিও করে রাখে। যারা লাশ দাফন করেছে। তাদের এই ভিডিওটি দেখানো হলে তারা ওই নারী তাদের স্বজন নয় বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে চুরি করতে গিয়ে ধরা, বেরিয়ে এলো বীভৎস ধর্ষণ ও হত্যা কাহিনী

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:২০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) নামের এক যুবক। বেরিয়ে আসে ৫৫ দিন আগের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায়, চোর এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

আটোয়ারী থানার এই চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস নারী ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

তিনি জানান, শনিবার (৯ মার্চ) ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। এসময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যায়। তিনি বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।

পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো রাণীগঞ্জ এলাকার ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।

গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের পর সাজ্জাতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর পরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর, একে একে দু’স্তন , পরে গোপনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিলতিল করে চিরে, পরে রেললাইনে শুয়ে রাখে হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবিও উদ্ধার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আটোয়ারী থানার কিসমত রেলগেটের পশ্চিম পাশে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে ওই তরুণীর লাশ রেললাইনে রেখে পালিয়ে যায়।

 

গ্রেপ্তার রিফাত আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপার জানান, এখনো ওই নারীর পরিচয় মেলেনি। তবে ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লী থানার এক নারী নিখোঁজ মামলা সূত্রে স্বজনরা ক্ষতবিক্ষত লাশ নিয়ে গিয়ে দাফন করে। ভুক্তভোগীর কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ফোনে হত্যার ঘটনা ভিডিও করে রাখে। যারা লাশ দাফন করেছে। তাদের এই ভিডিওটি দেখানো হলে তারা ওই নারী তাদের স্বজন নয় বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।