লিওনেল মেসির বাড়ি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে, তবে ফুটবলের জন্য বেশিরভাগ সময়ই যে থাকতে হয় নিজ দেশের বাইরে। তবে যত দূরেই থাকুক না কেন, দেশের মানুষের কোনও বিপদ হলে তার মন তো কাঁদবেই। হঠাৎ মেসির দেশে আকস্মিক বন্যায় মারা গেছেন অন্তত ১৬ জন মানুষ। আর বাহিয়া ব্লাঙ্কার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের জন্য সমবেদনা জানিয়ে আবেগপ্রবণ বার্তা দিয়েছেন মেসি।
লিওনেল মেসির রোজারিওর বাড়ি থেকে বাহিয়া ব্লাঙ্কার দূরত্ব নেহাত কম নয়। বিমানে গেলে মেসির বাড়ি থেকে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টার মতো, আর গাড়িতে সময় লাগে ১০-১২ ঘণ্টা। আর আকস্মিক বন্যাটা হয়েছে সেখানেই।
ফুটবলের জন্য মেসিকে থাকতে হয় নিজ দেশের বাইরে। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে তার বাড়িতে হয়তো তিনি যান কালেভদ্রে। তবে তাতে কি, দেশের মানুষের বিপদের সময় কাঁদছে তার মন। নিজের ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘বাহিয়া ব্লাঙ্কায় কী হচ্ছে, আমরা নিবিড়ভাবে তার খোঁজ খবর রাখছি।’
ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মেসি আরও লেখেন, ‘যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, সেই সব পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল। এবং কঠিন এই সময়ে যারা বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারা যেন মানসিক দিক থেকে শক্ত থাকতে পারে, সেই কামনা থাকলো।’
আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাঙ্কায় প্রবল বর্ষণের কারণে হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ৮ ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে বন্দরনগরীর বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এদের প্রতি সমবেদনা জানাতেই এমন আবেগঘণ বার্তা দিয়েছেন মেসি।