কক্সবাজারের সোনালীকে গণধোলাই : মামলা
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে সানোয়ার স্টোরে প্রতারণা করে মালামাল হাতিয়ে নেয়ার সময় সোনালী (৫০) নামের এক প্রতারক চক্রের সদস্যকে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে সানোয়ার স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকালই সোনালীকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতারক সোনালী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার হলুদিয়া ইউনিয়নের ফাগলিবিলা গ্রামের মৃত আ. সালামের ছেলে। সে গত তিন মাস যাবত চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান করছে।
মামলা ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে সোনালী চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজারে সানোয়ার স্টোর থেকে ২৭ হাজার টাকার মালামাল নেই। দোকানী টাকা চাইলে নগদ টাকা নেই চেকের মাধ্যেমে ব্যংক থেকে টাকা উঠিয়ে আপনার টাকা পরিশোধ করবে বলে জানায়। এ সময় দোকানীর নিকট থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা দিতে বলে এবং ব্যাংক থেকে টাকা তুলে একসাথে পরিশোধ করবে বলে জানায় প্রতারক সোনালী। বিষয়টি দোকানীর মনে সন্দেহ হলে সোনালীকে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতা প্রতারক সোনালীকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোনালীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় প্রেরণ করেন।
এএসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আটককৃত সোনালী প্রতারক একজন প্রতারক চক্রের সদস্য। তার বাড়ি কক্সবাজার। গত তিন মাস যাবত চুয়াডাঙ্গা অবস্থান করছে। এ আগে ও সে বড়বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে অভিনব কৌশলে মালামাল হাতিয়ে নেই।
গতকাল সকালে বড়বাজারের সানোয়ারের দোকান থেকে মালামাল কৌশনে হাতিয়ে নেয়ার সময় প্রতারক সোনালীকে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে সোনালীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানাই নিই। এ ঘটনাই তার নামে একটি মামলা হয়েছে। গতকালই সোনালীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।