মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আগামী ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা পালন ও তাজিয়া বা শোক মিছিলের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আশুরাকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই, তবে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, কিছু দুষ্ট লোক থাকতে পারে, স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা কোনো কিছু করতে পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাজিয়া মিছিলের আয়োজকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা নির্দিষ্ট আর্মবেন্ড পরিহিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেবেন যেন তাদেরকে দেখেই চেনা যায় তারা স্বেচ্ছাসেবক। তারা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। যদি কোনো গুজব বা নেতিবাচক সংবাদ পান তাহলে বিষয়টি দ্রুত পুলিশকে অবহিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, হোসাইনী দালান ইমামবাড়া পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। যে কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড ও ম্যানুয়ালি সুইপিং করা হবে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম-বার, পিপিএম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
আশুরার কর্মসূচিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মতামত প্রদান করেন।